বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সংলাপ: ১৭ জানুয়ারি বঙ্গভবনে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৪৩

ক্ষমতাসীন দলটির এক নেতা জানান, আগের ধারবাহিকতায় এবারও সংলাপে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রতিনিধি দলে থাকবেন।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে চলমান সংলাপে অংশ নিতে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আগামী ১৭ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বঙ্গভবন।

রাষ্ট্রপতির প্রেস উইং ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে রোববার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সংলাপে অংশ নিতে বঙ্গভবনের পাঠানো চিঠি রোববার বিকেলে পেয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া।

ইসি গঠনে গত ২০ ডিসেম্বর থেকে দেশের নিবন্ধিত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপ চলছে। রীতি অনুযায়ী সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টিকে প্রথম রাজনৈতিক দল হিসেবে আমন্ত্রণ জানায় বঙ্গভবন।

সংলাপে অংশ নেয়া দলগুলো ৭ থেকে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার সুযোগ পেলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল নিয়ে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে বলে জানা গেছে।

ক্ষমতাসীন দলটির এক নেতা জানান, আগের ধারবাহিকতায় এবারও সংলাপে আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা প্রতিনিধি দলে থাকবেন।

কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান কমিশনের মেয়াদ ফেব্রুয়ারিতে শেষ হচ্ছে। এই সময়সীমার মধ্যে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রোববার পর্যন্ত ৩২টি দলকে সংলাপে অংশ নিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বঙ্গভবন।

তবে এবারই প্রথম সংলাপ বর্জনের ঘটনা ঘটেছে। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও বাংলাদেশ মুসলিম লীগ বঙ্গভবনের আমন্ত্রণ পাওয়া সত্ত্বেও সংলাপে অংশ নেয়নি।

সংসদের বাইরে বিরোধী দল বিএনপিকে সংলাপে অংশ নিতে ১২ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় আমন্ত্রণ জানিয়েছে বঙ্গভবন। তবে সংলাপে না যাওয়ার কথা আগেই জানিয়ে রেখেছে দলটি। সেই তালিকায় আছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) নাম‌ও।

স্বাধীনতার ৫০ বছরেও নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে কোনও আইন তৈরি হয়নি দেশে। তবে সংবিধান অনুযায়ী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের এখতিয়ার রাষ্ট্রপতির।

চলমান সংলাপে এ পর্যন্ত যেসব দল অংশ নিয়েছে, তারা সবাই ‌ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।

আইন না থাকায় ২০১২ সাল থেকে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নেতৃত্বে চার কমিশনার নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির সংলাপের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে দেশে।

সাবেক রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ২০১২ সালে এবং বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২০১৭ সালে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করে সার্চ কমিটির মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন করেন।

সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদে বলা আছে, ‘(১) প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অনধিক চারজন নির্বাচন কমিশনারকে লইয়া বাংলাদেশের একটি নির্বাচন কমিশন থাকিবে এবং উক্ত বিষয়ে প্রণীত কোন আইনের বিধানাবলী-সাপেক্ষে রাষ্ট্রপতি প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান করিবেন।’

তবে সংবিধানের আলোকে ওই আইন না হওয়ায় প্রতিবারই নির্বাচন কমিশন গঠনে জটিলতা দেখা দেয়। সেই জটিলতা এড়াতে শেষ দুবার সার্চ কমিটি গঠন করে ইসি গঠন হলেও বিতর্ক থামেনি।

গত দু’বারের অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, নতুন বছরের আগেই মধ্য ডিসেম্বরে সংলাপ শুরুর উদ্যোগ নেন রাষ্ট্রপতি। মধ্য জানুয়ারিতে সংলাপ শেষ হয়। সার্চ কমিটি গঠিত হয় জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে; নাম প্রস্তাব ও বাছাই শেষে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে সিইসি ও ইসির নাম প্রকাশ করা হয়।

এভাবেই কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ ও কে এম নুরুল হুদার নেতৃত্বাধীন কমিশন দায়িত্ব পেয়েছিল।

বর্তমান কমিশন গঠনের আগে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। সেখানে দলগুলো পাঁচটি করে নাম প্রস্তাব করে। সেই নামগুলো বিবেচনায় নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি মোট ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ করে। সেখান থেকে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ পাঁচ সদস্যের বর্তমান কমিশন গঠন করেন।

এ বিভাগের আরো খবর