ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৯ সালের বিএসএস (সম্মান) পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করায় ১২ শিক্ষার্থীকে ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান এই পুরস্কার তুলে দেন।
প্রতি বছর প্রথম ১০ জনকে এই পুরস্কার দেয়া হয়। এবার প্রথম থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারীদের পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এবার ১০ জনের বেশি পাওয়ার কারণ হলো, ষষ্ঠ ও সপ্তম দুইজন করে এবং অষ্টম হয়েছেন তিনজন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক অধ্যাপক ফখরুল আলমও বক্তব্য দেন।
অধ্যাপক আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলী ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
প্রয়াত অধ্যাপক সিতারা পারভীনের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘তিনি ছিলেন একজন সৎ, আদর্শবান ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। তার আদর্শ ধারণ করে অসাম্প্রদায়িক ও মানবিক মূল্যবোধসম্পন্ন মানুষ হওয়ার জন্য তিনি শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।’
উপাচার্য বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনে শিক্ষার্থীদের অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।’
সিতারা পারভীনের কর্ম এবং গবেষণা ক্ষেত্রে অবদান তুলে ধরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির পরিচালক ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ফখরুল আলম।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক সিতারা পারভীন দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতা বিভাগে পড়িয়েছেন। শিক্ষকতা জীবনের পুরোটা সময় তিনি এই বিভাগের উন্নয়নে অবদান রেখেছেন। যারা এই পুরস্কার পেল, তাদের জন্য এটি অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।’
পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন মিলি আক্তার, রিতু কর্মকার, জান্নাতুল ইসলাম রিয়া, তহুরা তাবাসসুম তরি, সুমাইয়া জাহিদ, মো. তরিকুল ইসলাম, টিপু সুলতান, সাইদুল ইসলাম, তানহা তাসনিম ইতি, ফারহানা আক্তার, নুসরাত জাবীন বিভা এবং সুমাইয়া আরেফিন অর্নি।
মিলি আক্তার তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘যখন প্রথম বর্ষে ছিলাম, তখন এই পুরস্কারের নাম শুনেছি। তখন থেকেই এই পুরস্কার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা আমার মধ্যে কাজ করত। এই পুরস্কার পেয়ে নিজেকে ধন্য মনে করছি।’
সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের কন্যা এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. আহাদুজ্জামান মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী অধ্যাপক সিতারা পারভীন ২০০৫ সালের ২৩ জুন যুক্তরাষ্ট্রে এক সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন।