বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুরাদ ও স্ত্রীর অস্ত্র জমা নিল পুলিশ

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৪৪

ধানমন্ডি থানার ওসি বলেন, ‘থানার নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সন্ধ্যায় তিনটি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি পিস্তল ও দুটি শটগান রয়েছে। ড. মুরাদের স্ত্রীর জিডির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অস্ত্রগুলো থানায় জমা থাকবে।’

প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসান ও তার স্ত্রীর লাইসেন্স করা তিনটি অস্ত্র জমা নিয়েছে পুলিশ।

স্ত্রীকে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির ঘটনাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তাজনিত কারণে রোববার ধানমন্ডি থানা পুলিশ মুরাদের দুটি ও তার স্ত্রীর একটি অস্ত্র জমা নেয়।

ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকরাম আলী মিয়া নিউজবাংলাকে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যেহেতু ডা. মুরাদের স্ত্রী তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে একটি জিডি করেছেন, তাই তার নিরাপত্তা নিশ্চিতে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে ডা. মুরাদ ও তার স্ত্রীর নামে লাইসেন্স করা অস্ত্রগুলো থানায় জমা দিতে বলা হয়েছিল।

‘থানার নির্দেশনা অনুযায়ী তারা সন্ধ্যায় তিনটি অস্ত্র জমা দিয়েছেন। অস্ত্রগুলোর মধ্যে একটি পিস্তল ও দুটি শটগান রয়েছে। ড. মুরাদের স্ত্রীর জিডির বিষয়টি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের অস্ত্রগুলো থানায় জমা থাকবে।’

এদিকে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রোববার ঢাকার মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।

এরআগে শনিবার জিডিটি তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক রাজিব হাসান।

গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান মুরাদের স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মুরাদ বাসা থেকে বেরিয়ে যান। ওইদিন বিকেলে স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করেন জাহানারা।

স্ত্রী জাহানারা এহসান জিডিতে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মারধর, মানসিক নির্যাত ও হত্যার হুমকির অভিযোগ আনেন। নিরাপত্তাহীনতায় পড়ার কথা জানালে পুলিশ তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার কথা জানায়।

পুলিশ জানিয়েছে, জিডির তদন্ত করতে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। এটাই নিয়ম, এটাই আইনি প্রক্রিয়া। মুরাদ হাসানের স্ত্রীর অভিযোগ অধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে।

ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের পর এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে মুরাদের অশালীন বক্তব্যের অডিও ফাঁস হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন মুরাদ। পরে আওয়ামী লীগের পদও হারান তিনি। অবশ্য তার সংসদ সদস্য পদ টিকে আছে।

এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে তিনি কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ইকে ৮৫৮৫-এ তিনি প্রথমে দুবাই যান। এরপর সেখান থেকে আরেকটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তবে টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয় কানাডীয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বস্ত একটি সূত্র নিউজবাংলাকে জানায়, করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণেই মুরাদকে কানাডার ইমিগ্রেশন ফিরিয়ে দেয়।

মুরাদ হাসান এরপর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে ভিসা না থাকায় দুবাইয়ে ইমিগ্রেশনও আটকে দেয় সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে। দুবাইয়ে প্রবেশে ব্যর্থ হওয়ার পর ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন মুরাদ হাসান।

এ বিভাগের আরো খবর