বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুরাদের বিরুদ্ধে জিডি তদন্তের নির্দেশ

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:১১

ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক ফুয়াদ উদ্দিন এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের করা সাধারণ ডায়েরি (জিডি) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশিদ এ আদেশ দেন।

ধানমন্ডি থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার (নন-জিআরও) কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক ফুয়াদ উদ্দিন এ তথ্য নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে শনিবার জিডিটি তদন্তের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠান তদন্ত কর্মকর্তা ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক রাজিব হাসান। নিবন্ধন শাখায় আবেদন জমার পর তদন্তের অনুমতি দেয় আদালত।

গত ৬ জানুয়ারি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে পুলিশের সহায়তা চান মুরাদের স্ত্রী জাহানারা এহসান। পরে ধানমন্ডি থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই মুরাদ বাসা থেকে বেরিয়ে যান। ওই দিন বিকেলে স্বামীর বিরুদ্ধে জিডি করেন জাহানারা এহসান।

স্ত্রী জাহানারা এহসান জিডিতে মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে মারধর, মানসিক নির্যাতন ও হত্যার হুমকির অভিযোগ আনেন। নিরাপত্তাহীনতায় পড়ার কথা জানালে পুলিশ তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার কথা জানায়।

পুলিশ জানিয়েছে, জিডির তদন্ত করতে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। এটাই নিয়ম, এটাই আইনি প্রক্রিয়া। মুরাদ হাসানের স্ত্রীর অভিযোগ অধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে।

মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে স্ত্রী জাহানার এহসান জিডিতে অভিযোগ করেন, ‘ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে ১৯ বছর আগে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বিবাহিত জীবনে আমাদের সংসারে মেয়ে রামিসা ফারিহা রাজকন্যা ও ছেলে হাসান আবরার মাহির যুবরাজ রয়েছে। বিবাদী আমার স্বামী।

‘তিনি একজন সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তিনি কারণে-অকারণে আমাকে এবং সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছেন।’

ভার্চুয়াল টকশোতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তার নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের পর এক চিত্রনায়িকার সঙ্গে মুরাদের অশালীন বক্তব্যের অডিও ফাঁস হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ৭ ডিসেম্বর পদত্যাগ করেন মুরাদ। পরে আওয়ামী লীগের পদও হারান তিনি। অবশ্য তার সংসদ সদস্য পদ টিকে আছে।

এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে তিনি কানাডার উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন। এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইট ইকে ৮৫৮৫-এ তিনি প্রথমে দুবাই যান। এরপর সেখান থেকে আরেকটি ফ্লাইটে কানাডার উদ্দেশে যাত্রা করেন।

তবে টরন্টোর পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে ফিরিয়ে দেয় কানাডীয় কর্তৃপক্ষ। বিশ্বস্ত একটি সূত্র নিউজবাংলাকে জানায়, করোনাভাইরাস-সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকার কারণেই মুরাদকে কানাডার ইমিগ্রেশন ফিরিয়ে দেয়।

মুরাদ হাসান এরপর মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে ঢোকার চেষ্টা করেন। তবে ভিসা না থাকায় দুবাইয়ে ইমিগ্রেশনও আটকে দেয় সাবেক এই প্রতিমন্ত্রীকে। দুবাইয়ে প্রবেশে ব্যর্থ হওয়ার পর ১২ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন মুরাদ হাসান।

এ বিভাগের আরো খবর