পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) আওতায় রাজধানীর হাতিরঝিল-রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরার ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করতে চীনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে।
রোববার দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের গ্র্যান্ড বলরুমে এ চুক্তি সই হয়৷
চুক্তি সইয়ের অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি রওশন আরা মান্নান৷ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের৷ কিন্তু তিনি অন্য ব্যস্ততার কারণে উপস্থিত থাকতে পারেননি৷
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের সড়ক বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সবুর এবং চীনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড ও চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশনের পক্ষে পিং মিং চুক্তিতে সই করেন। এ সময় সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন৷
হাতিরঝিল-রামপুরা-আমুলিয়া-ডেমরার ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটার সড়ক চার লেনে উন্নীত করতে চীনের নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি সই হয়েছে। ছবি: নিউজবাংলা
রাজধানীর হাতিরঝিল-রামপুরা-বনশ্রী আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ-আমুলিয়া-ডেমরা সড়ক চার লেনে উন্নীত করতে সময় লাগবে চার বছর। এই সড়ক চার লেন হওয়ার পর চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করা হবে, যা বাংলাদেশ সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগ তত্ত্বাবধানে করছে। বাংলাদেশ সরকার এতে ব্যয় করবে ১ হাজার ২০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
এক্সপ্রেসওয়েটি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকার সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে, যেখানে মহাসড়কে যান চলাচল নিরবচ্ছিন্ন রাখতে একটি বহু স্তরবিশিষ্ট ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হবে।
হাতিরঝিল থেকে ডেমরা পর্যন্ত এখনকার রুটটি ১৬ দশমিক ৫ কিলোমিটারের। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে তা ১৩ দশমিক ৫০ কিলোমিটারে নেমে আসবে। তবে এটি ব্যবহারের জন্য টোল দিতে হবে ২১ বছর।
মহাসড়ক ধরে যানবাহন ঢাকায় ঢোকার পর তা সড়কে ব্যাপক চাপ তৈরি করে। এতে প্রায়ই শহরের দক্ষিণ অংশে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। তাই ঢাকার যানজট কমাতে ও শহরের কেন্দ্রস্থলে একটি বিকল্প প্রবেশদ্বারের জন্য বিদ্যমান হাতিরঝিল-রামপুরা-বনশ্রী-শেখের জায়গা-আমুলিয়া-ডেমরা রুটটিকে এক্সপ্রেসওয়েতে পরিণত করার পরিকল্পনা হাতে নেয় সরকার।
পিপিপি প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সুলতানা আফরোজ বলেন, ‘পিপিপি প্রকল্পে ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই কম। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই আমরা কাজ করি।’
তিনি বলেন, ‘বেসরকারি বিনিয়োগ উৎসাহিত করে সরকারের সড়ক খাতে গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রকল্পের চুক্তি সই হলো। দেশের উন্নয়ন ও অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’