বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

দেশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে: জি এম কাদের

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৩৫

জি এম কাদের বলেন, ‘নিরাপত্তা নেই কোথাও। দাড়ি-টুপি দেখলেই তাকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অনেক নিরীহ মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। দেশটা দিনে দিনে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।’

বাংলাদেশ দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।

রোববার তার বনানীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিয়ম সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

জি এম কাদের বলেন, ‘দেশের মানুষের মানসম্মান, ইজ্জত ও জীবনের নিরাপত্তা নেই। সড়কে বের হলে দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাবে, ট্রেনের ধাক্কায় বাসের যাত্রী মারা যাবে আর নদীতে দুর্ঘটনায় অসংখ্য মানুষের মৃত্যু হবে, এটা যেন স্বাভাবিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

‘দুর্ঘটনায় মানুষ মারা যাবে, এর কোনো বিচার হবে না। স্বামী ও সন্তানের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন নারী। ইজ্জতের নিরাপত্তা নেই কোথাও। দাড়ি-টুপি দেখলেই তাকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। অনেক নিরীহ মানুষকে জঙ্গি আখ্যা দিয়ে টাকা আদায় করা হচ্ছে। দেশটা দিনে দিনে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।’

কাউকে ক্ষমতায় নিতে বা ক্ষমতাচ্যুত করতে জাতীয় পার্টির রাজনীতি নয় বলে মন্তব্য করেন জাপা চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টি স্বতন্ত্র আদর্শ নিয়ে রাজনীতির মাঠে আছে। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের পরিবর্তে বিএনপিকে চায় না। মানুষ দুটি দলের বিকল্প হিসেবে জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায়।’

জি এম কাদের বলেন, ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ জেলখানায় যখন অসুস্থ হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছিলেন, তখন আমরা পিজি হাসপাতালে সুচিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করেছিলাম।

‘তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনাও এরশাদের সুচিকিৎসার জন্য বিবৃতি দিয়েছিলেন। কিন্তু বিএনপি সরকার তখন জেলখানা থেকে পিজি হাসপাতালে নিয়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেনি। আজ বিএনপি তাদের নেত্রীর চিকিৎসার জন্য কান্নাকাটি করছে।’

জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশের মানুষ ভালো নেই। এমএ পাস করে যুবকরা কাজের অভাবে রাস্তার পাশে হকারি করছেন। শিক্ষিত বেকাররা সিএনজি অটোরিকশা চালাচ্ছেন, তাদের মেধার মূল্যায়ন হচ্ছে না।

‘জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতি বছর শত শত শিক্ষিত বেকার সাগর-পাহাড় পাড়ি দিয়ে অবৈধভাবে বিদেশে যাচ্ছেন, অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। তেলের দাম বাড়ানো হচ্ছে, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দামও বাড়ানো হচ্ছে। কৃষক লোকসান দিয়ে ফসল ফলান আর মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত ঘুরে সেই ফসল ১০ গুণ বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দেখার যেন কেউ নেই।’

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মনিরুল ইসলাম মিলন, জহিরুল আলম রুবেল, যুগ্ম মহাসচিব মো. জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর