দেশে ধারাবাহিকভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। গত সপ্তাহের তুলনায় শনাক্ত ১১৫ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
করোনার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার দুপুরে স্বাস্থ্য বুলেটিনে এসে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, এক সপ্তাহ ১ লাখ ৩৪ হাজারেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় আড়াই শতাংশ বেশি। নুমনা পরীক্ষা বিবেচনায় এক সপ্তাহে ৬ হাজার ৩০০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৩ হাজার ৩৭৬ জন বেশি। সপ্তাহ ব্যবধানে ১১৫ শতাংশ বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে।
বুলেটিনে বলা হয়, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে গত এক সপ্তাহে মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের, যা তার আগের সপ্তাহের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি।
নাজমুল ইসলাম বলেন, সার্বিকভাবে গত দুই মাসে সংক্রমণের হার ২ শতাংশ বা তার নিচে ছিল। তবে গত দুই সপ্তাহে শনাক্তের হার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে।
গত ২ জানুয়ারি ৫৫৭ জন রোগী শনাক্ত হলেও ৮ জানুয়ারি সেটা ১ হাজার ১১৬ জনে দাঁড়িয়েছে। জানুয়ারির শুরুতে শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে থাকলেও এটি এখন প্রায় ৬ শতাংশের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।
ওমিক্রনে যারা আক্রান্ত হচ্ছে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা কীভাবে নিশ্চিত করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জাবাবে নাজমুল ইসলাম বলেন, করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে যারা শনাক্ত হচ্ছে তাদের নজরদারি মধ্যে রাখা হচ্ছে। তারা সবাই সুস্থ আছেন। অনেকে চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি চলে গেছেন।
শুধু ওমিক্রন নয়, করোনার যেকোনো ধরনে আক্রান্ত হলে যথাসময়ে চিকিৎসা নেয়া দরকার বলে মনে করেন নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনা আক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তথ্য গোপন না করে চিকিৎসা নিলে করোনা মোকাবিলা সহজ হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই কর্মকর্তা জানান, ওমিক্রন গোটা ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রোগীর সংখ্যা বাড়িয়ে দিচ্ছে। হাসপাতালসহ স্বাস্থ্যসেবার সব উপকরণের ওপর চাপ বাড়িয়ে দিচ্ছে। ক্রমাগত চাপের মুখে অনেক দেশেই স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সবার সক্রিয় সহযোগিতায় বাংলাদেশে আমরা গত দুবছর যেভাবে করোনা মোকাবিলা করেছি, ২০২২ সালেও তা অব্যাহত রাখতে পারব।’