বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

থানায় ‘আত্মহত্যা’: তিন সদস্যের কমিটি

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১৬:০৭

লালমনিরহাট পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, ‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামালকে প্রধান করে এ কমিটিতে ডিবির ওসি আমিরুল ইসলাম ও কোর্ট পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমও রয়েছেন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় পুলিশ হেফাজতে যুবক হিমাংশু বর্মনের মৃত্যুর ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা শনিবার রাতে এ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামালকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করেন।

এ বিষয়ে নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মারুফা জামালকে প্রধান করে এ কমিটিতে ডিবির ওসি আমিরুল ইসলাম ও কোর্ট পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলমও রয়েছেন। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তের প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’

তবে কমিটি গঠনের বিষয়ে কিছু জানেন না জানিয়ে হাতীবান্ধা থানার ওসি মো. এরশাদুল আলম বলেন, ‘তদন্ত কমিটির বিষয়ে এখনও কোনো কাগজও পাইনি।’

এর আগে শুক্রবার বিকেলে হাতীবান্ধা থানায় পুলিশি হেফাজতে মৃত্যু হয় হিমাংশু বর্মনের। সেদিন ভোরবেলা পূর্ব কাদমার মালদাপাড়া গ্রামে স্ত্রী সাবিত্রী রানীর মুত্যুর ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুপুরে তাকে আটক করে থানায় আনে পুলিশ। ৩২ বছরের হিমাংশু স্থানীয় একটি চায়ের দোকানে কাজ করতেন।

তবে থানায় হিমাংশুর মৃত্যুর জন্য পুলিশকে দুষছেন স্বজনরা। তাদের অভিযোগ, শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে তাকে। তাই নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন তারা।

হিমাংশুর ভাই সুধীর কুমার বলেন, ‘হত্যা সন্দেহে আমার ভাইকে থানায় নেয়া হয়েছিল। রাতে জানায় সেখানে সে আত্মহত্যা করেছে। এটা কীভাবে সম্ভব? হত্যায় জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদে থাকা ব্যক্তিকে একা ফেলে পুলিশ কীভাবে চলে যায়? এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি।’

তবে পুলিশ বলছে, জিজ্ঞাসাবাদের ফাঁকে, জানালার গ্রিলের সঙ্গে গলায় ইন্টারনেটের তার পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন হিমাংশু।

পুলিশের ভাষ্য, শুক্রবার ভোরে হিমাংশুর স্ত্রী সাবিত্রী রানীর মরদেহ উঠানে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক কলহের জেরে আত্মহত্যা করেন তিনি। খবর দেয়া হয় পুলিশে।

সুরতহাল শেষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকালে হিমাংশু, তার ১৩ বছরের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ও হিমাংশুর চাচা খগেনকে থানায় ডাকে হাতীবান্ধা থানা পুলিশ। বিকেলে থানা হেফাজতে আত্মহত্যা করেন হিমাংশু।

এ বিভাগের আরো খবর