নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনায় করা মামলায় লঞ্চের চালক, মাস্টার ও সুকানিকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নূর নাহার ইয়াসমিনের আদালত রোববার দুপুরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আদালতে পুলিশের পরিদর্শক মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি জানান, ট্রলারডুবির ঘটনায় মামলা করে নৌ-পুলিশ। এই মামলায় গ্রেপ্তার তিন আসামি লঞ্চের মাস্টার মো. কামরুল হাসান, চালক মো. জসিমউদ্দিন ভূইয়া ও সুকানি মো. জসিমকে বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।
আদালত রিমান্ড শুনানির আবেদন রোববার ঠিক করে। এদিন দুপুরে রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
তদন্ত কর্মকর্তা নৌ-পুলিশের উপপরিদর্শক আব্দুল মতিন জানান, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও ধলেশ্বরী নদীতে ঘন কুয়াশার মধ্যে বেপরোয়া গতিতে লঞ্চ চালানোয় জানমালের ক্ষতি হয়। এ ঘটনায় আরও যারা সম্পৃক্ত তাদের আটক করা হবে।
ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হন। অন্তত ৩০ যাত্রী বহনকারী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় নদীতে।
রোববার তাদের মধ্যে নারী-শিশুসহ চারজনের মরদেহ ভেসে ওঠে। পরে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড সেগুলো উদ্ধার করে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ছয়জন। উদ্ধার করা যায়নি ডুবে যাওয়া ট্রলারটি।