রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে দুই পথচারীকে চাপা দেয়া মেঘলা পরিবহনের বাসের চালক রাকিব শরীফের ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স ছিল না। বাসটি ব্রেক ফেল করেছিল। এরপর আর নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি চালক।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে রোববার দুপুরে এসব তথ্য তুলে ধরেন বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে শনিবার মেঘলা পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয়। এতে শেখ ফরিদ ও মো. বাদশা মিয়া নামের দুই পথচারীর প্রাণ যায়। আহত হন অন্তত ছয় জন।
এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা সড়ক ও পরিবহন আইনে ওয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বাসটির ড্রাইভারকে শনিবার রাতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৩ এর একটি দল।
র্যাবের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করেছেন ড্রাইভার রাকিব শরীফ। তার ভারী যান চালানোর লাইসেন্স ছিল না। দৈনিক চুক্তিতে মালিকের কাছ থেকে বাসটি ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি।
খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘তিনি সে ৭-৮ বছর ধরে মেঘলা পরিবহনে বাসের হেলপারি করে আসছিলেন। বাসের হেলপারি করার পাশাপাশি ড্রাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। পরবর্তীতে বাসের হেলপারি ছেড়ে দিয়ে নিজে গাড়ি চালানোর জন্য মেঘলা পরিবহনের বিভিন্ন মালিকদের ড্রাইভার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য অনুরোধ করে।
‘তবে রাকিব শরীফের কোনো বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় প্রাথমিক পর্যায়ে কোনো মালিক তাকে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়নি। তবে মাঝেমধ্যে তিনি কয়েকজন মালিকের গাড়ি চালাতেন। ২০১৯ সালে তিনি হালকা মোটরযান ড্রাইভিং লাইসেন্স (পেশাদার) পায়। ওই হালকা মোটরযান ড্রাইভিং লাইসেন্স (পেশাদার) দিয়েই সে ভারি মোটরযান চালানো শুরু করে, যেটা সম্পূর্ণ বেআইনি।’
র্যাবের ব্রিফিংয়ে বলা হয়, রাকিব শরিফ গত ১৫ দিন আগে বাসটির মালিক সবুর মিয়ার কাছ থেকে দৈনিক ২ হাজার ২৫০ টাকা চুক্তিতে বাসটি ভাড়ায় চালানো শুরু করেন। শনিবার সকালে বাসটি নিয়ে ভূলতা গাউছিয়া থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশে আসে। যাত্রাবাড়ী হানিফ ফ্লাইওভার দিয়ে গুলিস্তান সংযোগে নামার সময় বাসটির অধিক গতি থাকার কারণে এবং ব্রেক কাজ না করায় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। বাসটি ওঠে যায় পথচারীদের ওপর।