ঘুষ গ্রহণ ও মানি লন্ডারিং মামলায় সিলেটের সাবেক কারা উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) পার্থ গোপাল বণিকের রায় ঘোষণা হবে আজ।
ঢাকার ৪ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক শেখ নাজমুল আলম বেলা ১১টার দিকে এই রায় পড়ে শোনানোর কথা রয়েছে।
রায়ের আগে রোববার সকাল ৯টার কিছু পরে পার্থ গোপাল বণিককে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। তাকে মহানগর দায়রা আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।
রায়কে কেন্দ্র করে আদালত এলাকায় নিরাপত্তা কিছুটা জোরদার করা হয়েছে বলে নিউজবাংলাকে জানান হাজতখানার দায়িত্বে থাকা পুলিশ পরিদর্শক আব্দুল হাকিম।
এ জন্য আদালতে আজ বাড়তি পুলিশ সদস্য আনা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
মামলার দুদকের পক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, 'পার্থ গোপাল বণিকের বিরুদ্ধে সাক্ষীরা যে সাক্ষ্য দিয়েছেন তাতে তিনি যে প্রকৃত দোষী, সেটি প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি, তাই তার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রত্যাশা করছি।'
আসামিপক্ষের আইনজীবীর ভাষ্য, মামলায় যাদের সাক্ষী করা হয়েছে তাদের বক্তব্যে মামলাটিতে পার্থ গোপাল বণিককে দোষী সাব্যস্ত করা যায় না। তাই তার প্রত্যাশা পার্থ গোপাল বণিক খালাস পাবেন।
এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর সোমবার একই আদালতে দুদক এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ঠিক করেন বিচারক নাজমুল আলম।
দুদকের পক্ষে মোশাররফ হোসেন কাজল এবং ডিআইজি পার্থের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী এহেসানুল হক সমাজী যুক্তিতর্ক শেষ করেন।
গত ২৪ নভেম্বর মামলাটিতে আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন ডিআইজি পার্থ। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। চার্জশিটভুক্ত ১৪ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে আদালত।
গত ৫ জুন পার্থ গোপাল বণিককে জামিন দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন। ২ সেপ্টেম্বর পার্থ বণিকের জামিন বাতিল করেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে তাকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সেই আদেশ অনুযায়ী ১৯ সেপ্টেম্বর পার্থ গোপাল বণিক বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত জামিন না দিয়ে কারাগারে পাঠায়।
এদিকে মামলাটি সংশ্লিষ্ট আদালত থেকে বদলি করে বিশেষ জজ আদালত-৪ এ পাঠানো হয়।
২০১৯ সালের ২৮ জুলাই সকাল থেকে পার্থ গোপালকে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে তার গ্রিন রোডের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ সহকারী পরিচালক মো. সালাউদ্দিন বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরদিন আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়।
গত বছর ২৪ আগস্ট একই কর্মকর্তা ডিআইজি পার্থের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। গত বছর গত ৪ নভেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
পার্থ গোপাল বণিক ২০১৬ সালের ৮ আগস্ট চট্টগ্রামের ডিআইজি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন।