বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আপিল বিভাগে ৪ বিচারক নিয়োগ

  •    
  • ৯ জানুয়ারি, ২০২২ ১০:২২

নিয়োগ পাওয়া বিচারকরা হলেন বোরহান উদ্দিন, এম ইনায়েতুর রহিম, এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।

আপিল বিভাগে চারজন বিচারক নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। এই নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের এই বিভাগে বিচারকের সংখ্যা দাঁড়াল আটজনে।

নিয়োগ পাওয়া বিচারকরা হলেন বোরহান উদ্দিন, এম ইনায়েতুর রহিম, এফ আর এম নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মো. গোলাম সারওয়ারের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে রোববার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

নিয়োগ পাওয়া চার বিচারকের মধ্যে তিন জনকে রোববারই শপথ পড়িয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। এফ আর এম নাজমুল আহাসান অসুস্থ থাকায় তিনি পরে শপথ নেবেন।

১০ বছর আগে যেখানে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিচারপতি ছিলেন ১১ জন, গত এক দশকে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫ জনে। প্রয়োজনীয়সংখ্যক বিচারকের অভাবে আপিল বিভাগে এখন একটি মাত্র বেঞ্চে বিচারকাজ চলছে।

বর্তমানে যে সংখ্যক মামলা রয়েছে, তা দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আপিল বিভাগে দ্রুত বিচারপতি নিয়োগ দিয়ে তিনটি বেঞ্চ গঠন করা দরকার বলে মনে করছেন সিনিয়র আইনজীবীরা।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন জানিয়ে আসছিলেন, দ্রুতই আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগ দেয়া হবে। তাই হলো।

২০১৭ সালে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদায়, এরপর জ্যেষ্ঠ বিচারপতি আব্দুল ওয়াহহাব মিঞার পদত্যাগ ছাড়াও বেশ কয়েকজন অবসরে যাওয়ায় আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা কমতে থাকে। পরে একসঙ্গে তিনজন বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

এর ফলে সে সময়ে সাত বিচারক মিলে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চে বিচারিক কাজ পরিচালনা করে আসছিলেন। এরপর অবসরে চলে যান বিচারক জিনাত আরা ও মির্জা হোসেইন হায়দার। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরও দুজন বিচারক নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।

সম্প্রতি বিচারক আবু বকর সিদ্দিকী অবসরে গেলে আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা নেমে আসে পাঁচজনে। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন অবসরে চলে যাওয়ায় আপিল বিভাগে বিচারকের সংখ্যা দাঁড়ায় চারজনে। চারজনের মধ্যে একজন আবার ছুটিতে। ফলে তিন বিচারক মিলে আপিল বিভাগের বিচারকাজ পরিচালনা করছেন।

নিয়োগ পাওয়াদের মধ্যে বোরহান উদ্দিন ২০০৮ সালের ১৬ নভেম্বর হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরে ২০১০ সালের ১১ নভেম্বর তিনি স্থায়ী হন।

তিনি ১৯৮৫ সালের ৩ মার্চ আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। এরপর ১৯৮৮ সালের ১৬ জুন তিনি হাইকোর্টের আইনজীবী হন, ২০০২ সালে তিনি আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

বিচারক এম ইনায়েতুর রহিম ২০০৯ সালের ৩০ জুন হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। এরপর ২০১১ সালের ৬ জুন স্থায়ী হন।

তিনি ১৯৮৬ সালের ৩০ অক্টোবর আইনজীবী হিসেবে বার কাউন্সিল তালিকাভুক্ত হন। এরপর ১৯৮৯ সালের ২ জানুয়ারি তিনি হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। পরে ২০০২ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী তালিকাভুক্ত হন।

বিচারক এফ আর এম নাজমুল আহসান ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী হন।

আর বিচারক কৃষ্ণা দেবনাথও ২০১০ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। পরে ২০১২ সালের ১৫ এপ্রিল স্থায়ী হন।

এ বিভাগের আরো খবর