শীতকালীন সবজিতে জমে উঠেছে ঠাকুরগাঁওয়ের সবচেয়ে বড় গোবিন্দ নগর বাজার। বিক্রির জন্য প্রতিদিন ভোরে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে সবজি বাজারে আনেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
নানা রঙ এর সবজি সাজিয়ে রাখা হয় নানা ঢঙে। এরপর হাক-ডাক করে সেগুলো পাইকারি ও খুচরা দামে বিক্রি করা হয়। বর্তমানে সরবরাহ বেশি হওয়ায় সবজির বেচাকেনা চলছে ধুমছে। যদিও আলু ও মুলা বাদে সব সবজি কিছুটা বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের।
গত শনিবার সকালে বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি নতুন আলু ৭ থেকে ১৪ টাকা, শিম ১২ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ১৭ থেকে ২০ টাকা, মূলা ৪ থেকে ৬ টাকা, ফুলকপি ২২ থেকে ২৪ টাকা, বাধাকপি ৭ থেকে ৮ টাকা, টম্যাটো ২০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ১৮ থেকে ২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর লাউ প্রতি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ টাকায়।
এ দিকে বিভিন্ন শাক প্রকার ভেদে ৪ থেকে ৬ টাকা আটি দরে বিক্রি হচ্ছে যা আগের সপ্তাহের মতই আছে।
তবে বাজারে সবজি বিক্রি করে ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।
সবজি বিক্রেতা হাসেম আলী নিউজবাংলাকে বলেন, ‘৫ বিঘা জমিতে ফুলকপির চাষ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছি। প্রতি কেজি ফুলকপির উৎপাদন খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৩ টাকা। বিক্রি করেছি ২২ টাকা কেজি দরে।’
আলু-মুলা নিয়ে অভিযোগ
তবে আলু ও মুলার দাম কম থাকায় লোকসান গুণতে হচ্ছে বলে জানান কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।
আলুচাষী আব্দুল করিম জানান, তিনি সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি এলাকায় ১০ বিঘা জমিতে গেনুলা জাতের আলু চাষ করেছেন।প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১০-১২ টাকা। কিন্তু বাজারে এ আলু ৬ থেকে ৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হচ্ছে। এ ছাড়া পরিবহন খরচ তো আছেই।
মুলা ব্যবসায়ী মোহম্মদ সবুজ খন্দকার বলেন, ‘শীতের শুরুর দিকে মুলার দাম কয়েকদিন বেশি থাকলেও এখন সস্তা। চাহিদাও নেই তেমন। সকালে ৮০০ টাকায় ৫ মণ মুলা কিনেছি, এখন অর্ধেকের বেশি পড়ে আছে।’
আড়তে বড় সবজি ব্যবসায়ী আলতাফ মাহমুদ কদম জানান, আলু আর মুলা বাদে প্রায় সব সবজিতেই দাম পাচ্ছেন বিক্রেতারা। বাজারে সবজির সরবরাহও ভালো। দৈনিক ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার সবজি এ বাজারেই বিক্রি হয়ে থাকে।
কৃষি বিভাগ যা বলছে
জেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক আবু হোসেন জানান, এ বছর জেলায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষ করা হয়েছে। ফলনও ভালো হয়েছে। তবে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেশি হওয়ায় আলু ও মূলার চাহিদায় প্রভাব পড়েছে।