মাঝ নদীতে আগুন আতঙ্কে বরিশালগামী এমভি সুরভী-৯ লঞ্চকে চাঁদপুরে আটকে দেয় নৌ-পুলিশ। নৌ ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তারা গিয়ে লঞ্চ পরীক্ষা করে জানান, আগুন লাগেনি; সাইলেন্সার অতিরিক্ত উত্তপ্ত হয়ে যাওয়ায় ধোঁয়া বের হচ্ছিল। সে কারণে যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়ার পর লঞ্চটিকে ভোর ৫টার দিকে বরিশালের উদ্দেশে যেতে দেয়া হয়।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চাঁদপুরের বন্দর কর্মকর্তা কায়সারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
যাত্রীদের কাছ থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন পেয়ে শনিবার মধ্যরাতে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে লঞ্চটি আটকে দেয়া হয়।
নৌ-পুলিশের মোহনপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর ওয়াহেদুজ্জামান জানান, এমভি সুরভী-৯ লঞ্চটি ঢাকা থেকে বরিশাল যাচ্ছিল। রাত ১২টার দিকে মোহনপুর এলাকা পাড়ি দেয়ার সময় লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে ধোঁয়া দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা।
তিনি রাতে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চটি আমাদের হেফাজতে রয়েছে। যাত্রী এবং তাদের মালামালের নিরাপত্তা আমরাই দিচ্ছি। যাত্রীরা জানিয়েছেন, লঞ্চের ইঞ্জিন রুমে তারা আগুন জ্বলতে দেখেছেন এবং আগুন থেকে ধোয়ার সৃষ্টি হয়। এ জন্য যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।’
ওই লঞ্চে থাকা যুনাইদ খন্দকার নামের কলেজছাত্র রাতে বলেন, ‘লঞ্চটি ঢাকা সদরঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়ার ঘণ্টা কয়েক পরে চাঁদপুরের মোহনপুর লঞ্চঘাটে নোঙর করা হয়।
তিনি বলেন, ‘যাত্রীরা নাকি লঞ্চটির ইঞ্জিন রুম থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখেছেন। কোনো এক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চান। এর পরপরই পুলিশ চাঁদপুরের মোহনপুর সুরভী-৯ লঞ্চটি আটকে দেয়।
‘প্রথমে একটু হইচই হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ আসার পরে সবাই শান্ত হয়েছে। লঞ্চটি বাইরে থেকে আটকে দেয়া হয়েছে। পুলিশ লঞ্চ স্টাফদের সঙ্গে কথা বলছে। তবে লঞ্চের একজন স্টাফ জানিয়েছেন, কোনো আগুন বা ধোঁয়া হয়নি। লঞ্চটি এক ইঞ্জিনে চলছিল। এ কারণে কোনো এক যাত্রী ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে অভিযোগ করেছে। এ কারণে শ শ যাত্রী মাঝরাতে ভোগান্তিতে পড়ছে।’
এর আগে গত ২৩ ডিসেম্বর ঝালকাঠির পোনাবালিয়া ইউনিয়নের দেউরী এলাকায় সুগন্ধা নদীতে ঢাকা থেকে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চ আগুনে পুড়ে যায়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৪৭। নিখোঁজ আরও অনেকে।