বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেলায় মানুষ দেখছে বেশি, কিনছে কম

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২৩:২৩

মেলায় মিনিস্টারের স্টলের কর্মকর্তা লোকমান বলেন, ‘এত দূরের মেলা থেকে ঢাকাবাসী পণ্য কিনবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কারণ পণ্য নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।’

বাণিজ্য মেলা শুরুর প্রথম দিকে তেমন একটা ভিড় না থাকলেও ছুটির দিনে বাড়ছে দর্শনাথী সংখ্যা। তবে বিক্রি তেমন একটা বাড়ছে না। মানুষ আসছে, দেখছে, চলে যাচ্ছে। পণ্য কিনছে কম।

শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে সরজমিন দুপুর পর্যন্ত পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলা মাঠ ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। এদিন বিকেল থেকে দর্শনার্থীরা আসা শুরু করেন। সন্ধ্যার সর্বোচ্চ উপস্থিতিতেও জনসমাগম ছিল শুক্রবারের চেয়ে অনেক কম।

মেলা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকাবাসী ছাড়া বাণিজ্যমেলা জমে না, আবার গ্রামের মানুষ (পূর্বাচলের আশপাশ এলাকা) বাণিজ্য মেলার গুরুত্ব বোঝে না। এ ব্যাপারে আগ্রহও দেখায় না।

কেন লোক সমাগম কম, তা জানতে নিউজবাংলা চেষ্টা করেছে মেলা প্রাঙ্গণে কর্মরত কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলতে। তারা ভিন্ন ভিন্ন স্টলে কাজ করলেও প্রায় একই রকম বক্তব্য দিয়েছেন। বলেছেন, মানুষ আসছে, তবে কিনছে কম।

ডিজনি ইতালি মার্কেটিং কোম্পানির কর্মকর্তা মো. রফিক বলেন, ‘ক্রেতা টানতে আমরা বাণিজ্যমেলায় একটি প্যাকেজ অফার দিয়ে বলেছিলাম একটি কিনলে ১০টি ফ্রি। সেটি ফেসবুক-ইউটিউবে প্রচার করেছি।

‘কিন্তু এমন অফারেও ক্রেতাদের বাণিজ্য মেলামুখী করা যাচ্ছে না। শুধু আমরা না। বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারী সবকটি স্টলেই নানা ধরনের লোভনীয় অফার দিচ্ছে। তা সত্বেও আশানুরূপ ক্রেতা টানতে পারছে না কেউ।’

তিনি বলেন, ‘ক্রেতা না আসলে তো প্যাকেজ অফারের বাইরে অন্যান্য পণ্যও বিক্রি হবে না। তা না পারলে তো প্যাকেজ অফারে একটির সঙ্গে ১০টি পণ্য ফ্রি বিক্রিও সম্ভব না। তাই প্যাকেজ অফারটি চারদিন চালিয়ে তা আমরা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছি।’

রফিক আরও বলেন, ‘কাছাকাছি অবস্থানে থাকা কিছু মানুষ মেলায় আসলেও শহরের মাঝামাঝি কিংবা দূর-দূরান্তে যারা থাকছেন তারা ৪-৫ ঘণ্টা জ্যাম ঠেলে এতো দূরে রাস্তায় আসতেও চাইছে না।’

ক্রোকারিজ পণ্যের স্টল ‘কিয়াম’ এর একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া দূর থেকে যারা আসছেন, তারা পণ্য কিনছেন কম। কারণ মেলা প্রাঙ্গণে তারা কোনোমতে আসতে সক্ষম হলেও যাওয়ার সময় গণপরিবহনে উঠতে তাদের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। মেলায় এসে পছন্দের জিনিসপত্র কিনে বহন করে নেয়া খুব কষ্টের।’

তিনি বলেন, ‘মেলার স্থান শহরের বাইরে হওয়া এবং এখানে যাতায়াত ব্যবস্থাটি সহজলভ্য নয় বলেই ক্রেতা-দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম। যারাই পূর্বাচলের বাণিজ্য মেলায় আসছে, তারা ঘুরছে-দেখছে বেশি, পণ্য কিনছে কম।’

মেলায় মিনিস্টারের স্টলের কর্মকর্তা লোকমান বলেন, ‘এত দূরের মেলা থেকে ঢাকাবাসী পণ্য কিনবেন না, এটাই স্বাভাবিক। কারণ পণ্য নিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি আছে।’

ওয়ালটনের প্যাভিলিয়নে কর্মরত একজন বলেন, ‘এমন একটা জায়গায় মেলা হচ্ছে, যেখানে যোগযোগ ব্যবস্থা নিরাপদ নয়। মেলায় অংশ নেয়ার আমাদের মুখ্য অর্জন পণ্যের আন্তর্জাতিক প্রচারণা।’

হাতিল ফার্নিচারের কর্মকর্তা আশফাক বলেন, ‘মেলা থেকে ফার্নিচার কিনলে বাড়তি পরিবহন খরচটিও সামনে এসে দাঁড়াবে। তাছাড়া সশরীর মেলায় এসে এখন পণ্য কেনার মতো ক্রেতা খুবই কম। এখন মেলার প্রচারণাই আমাদের প্রাপ্তি।’

উল্লেখ্য, এবারের বাণিজ্য মেলায় দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মোট ২৩টি প্যাভিলিয়ন, ২৭টি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ১৬২টি স্টল রয়েছে। ১৪ হাজার ৩৬৬ বর্গমিটার আয়তনের দুটি হলে প্যাভিলিয়ন ও স্টল তাদের পণ্যের পসরা সাজিয়েছে। এছাড়া কমপ্লেক্সের বাইরেও রয়েছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন।

এ বিভাগের আরো খবর