মুন্সিগঞ্জ সদরের একটি কোচিং সেন্টার থেকে এক শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
সূত্রধরপাড়া থেকে শনিবার বেলা ১১টার দিকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতের নাম মৃদুল সূত্রধর। তার বয়স ২৬ বছর। বন্ধুর সঙ্গে যৌথভাবে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন তিনি।
এসব নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর।
তিনি বলেন, ‘পরিবারের খবরে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে।
‘অভিযোগ পাচ্ছি, তার ব্যবসায়িক পার্টনারের সঙ্গে বিরোধ ছিল। এ নিয়ে স্থানীয় সালিশে তার জরিমানা হয়। সেই ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন ওই শিক্ষক। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে ব্যবস্থা নেব।’
স্থানীয়রা জানান, মৃদুল ও তার বন্ধু সঞ্জয় যৌথভাবে একটি কোচিং সেন্টার চালাতেন। সম্প্রতি তাদের মধ্যে মারামারি হয়।
বিষয়টি সমাধানে শুক্রবার রাতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আলমগীর খান, ইউপি সদস্য মামুনসহ এলাকার কয়েকজন সালিশে বসেন। সেখানে মৃদুলকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এতে ভীষণ অপমানিত হন মৃদুল।
রাতে তিনি বাড়ি ফেরেনি। অবস্থান করছিলেন কোচিং সেন্টারে। সে রাতেই তিনি ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন। যার একটি অংশে লেখা, ‘কেমন বিচার? বাদী, বাদীপক্ষ, বিচারক এবং এই বিচার ব্যবস্থাকে ধিক্কার!!’
পরদিন সকালে স্বজনরা কোচিং সেন্টারের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃদুলকে দেখতে পান।
মৃদুলের বাবা সুমন সূত্রধর বলেন, ‘এক লাখ টাকা দেয়ার সামর্থ্য আমাদের নেই। সালিশে তাকে অপমান করা হয়েছিল। তাই সে আত্মহত্যা করেছে। আমি এর বিচার চাই।’
এ বিষয়ে পঞ্চসার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলমগীর খান বলেন, ‘বিচার বলতে কিছুই হয়নি। স্থানীয় লোকজন বসে কথা শুনছিল। আমি পরে যাই। সেখানে তাকে কোনো জরিমানা করা হয়নি, মারধরও করা হয়নি। কেবল কোচিং সেন্টারের বকেয়া ভাড়া ৫৭ হাজার টাকা দিয়ে দিতে বলি।’