সৈকতে ঘুরতে আসা তরুণীদের টার্গেট করে ইভটিজিংয়ের একাধিক অভিযোগ উঠেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নিযুক্ত সৈকতকর্মী সৈয়দ নুরের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ আছে, ভ্রমণরত তরুণীদের কাছে তিনি প্রায়ই ফোন নম্বর চেয়ে বসেন। যতক্ষণ নম্বর পাননি, ততক্ষণ নাছোড়বান্দার মতো ওই তরুণীর পিছু নেন।
শনিবারও নুরের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন সমুদ্রসৈকতের লাবনী পয়েন্টে ঘুরতে আসা দুই তরুণী।
ভুক্তভোগী তরুণীদের একজন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দুই বান্ধবী মিলে শহরের আলীর জাহাল থেকে সৈকতে বেড়াতে এসেছি। লাবনী সৈকতে সৈয়দ নুর নামের ওই লোক আমাদের পিছু নেয়। জানতে চায়- বাড়ি কোথায়, বিয়ে হয়েছে কি না।
‘একপর্যায়ে আমরা তাকে বলেছি, আপনার এসব জানার দরকার কী? কিন্তু তার পরও ওই লোকটি পিছু ছাড়ে না। সৈকত থেকে উঠে জেলা পরিষদ পার্কে এসে বসি। সেখানেও এসে তিনি ফোন নাম্বার চান। বলেন, কখনও সৈকতে এলে যেন তাকে ফোন দিই।’
লিখিত অভিযোগ করবেন কি না জানতে চাইলে ওই তরুণী বলেন, ‘আমাদের পরিবার আছে। এ ঘটনা জানাজানি হলে সমস্যা হবে।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সৈয়দ নুর কথা বলতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক সৈকতকর্মী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের পর্যটনসংশ্লিষ্ট নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ মুরাদ ইসলাম বলেন, ‘তাকে নিয়ে আর পারছি না। যেখানে দিই সেখানেই এমন ঘটনা ঘটাচ্ছে। দেখি তাকে এবার কবিতা চত্বরের দিকে বদলি করব।’
এত অভিযোগ থাকার পরও তাকে কেন বরখাস্ত করা হচ্ছে না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার হাতে নেই। সে যে অপরাধ করছে আমার হাতে থাকলে এখনি বাদ দিতাম।’
সম্প্রতি সৈয়দ নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন আরও দুই তরুণী। লকডাউনের অজুহাতে তাদের হয়রানি করছিলেন এই সৈকতকর্মী।
সে সময় বিষয়টি কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নজরে আনেন গণমাধ্যমকর্মীরা। তখন তাকে সৈকতে অন্য পয়েন্টে বদলি করার কথা জানিয়েছিল জেলা প্রশাসন।