বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

আলিয়া মাদ্রাসার ভবন নিয়ে আন্দোলন ঠিক নয়: শিক্ষামন্ত্রী

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ২১:৪৮

মন্ত্রী বলেন, ‘আলিয়া মাদ্রাসায় অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেটা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ওখানে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ভবন হবে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সেই সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া উচিত নয়।’

হল প্রাঙ্গণে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে ঢাকার সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করছেন, তা ঠিক হচ্ছে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শনিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলা-সংলগ্ন বটতলার প্রাঙ্গণে ছাত্রলীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আলিয়া মাদ্রাসায় অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ নিয়ে শিক্ষার্থীরা যেটা করছেন, সেটা ঠিক নয়। ওখানে মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ভবন হবে। এটা সরকারের সিদ্ধান্ত হয়ে গেছে। সেই সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া উচিত নয়।’

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস নিয়ে যদি বিশেষ কোনো কথা থাকে, তাহলে তারা যেকোনো সময় আমার সঙ্গে কথা বলতে পারে। শিক্ষার্থীদের জন্য সব সময় আমার দরজা খোলা আছে।’

জানা গেছে, আলিয়া মাদ্রাসার একমাত্র আবাসিক হল আল্লামা কাশগরী (রহ.) হলের সামনেই মাদ্রসা অধিদপ্তরের ভবন নির্মাণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বেশ কিছু দিন ধরে প্রতিবাদ করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

সর্বশেষ দুপুরে এক মানববন্ধন থেকে অধিদপ্তর ভবন নির্মাণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে তারা ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন।

দীপু মনি বলেন, ‘চাকরিপ্রার্থী আর নিয়োগকর্তার মধ্যে অনেক তফাত থেকে যায়। শিক্ষা কারিকুলাম এমন হবে যেন চাকরিদাতা আপনাকে ক্যাম্পাসে এসে নিয়ে যাবে। এ জন্য ইন্ডাস্ট্রি এবং অ্যাকাডেমিয়ার লিংকেজ চাই।

‘ইন্ডাস্ট্রির প্রয়োজনে কারিকুলাম হবে আর সেই প্রয়োজন অনুযায়ী আপনি পড়বেন। তারা এসে আপনাকে ক্যাম্পাস থেকে নিয়ে যাবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান দরকার। ১০০ বছর আগে যেসব বিষয় নিয়ে যাত্রা হয়েছে তার সবকিছু এখন আর প্রাসঙ্গিক নয়।

‘আপনাদেরকেই পরিকল্পনা করে আমাদের বলতে হবে যে এটি আমাদের প্রয়োজন। আমরা প্রস্তুত। কিন্তু আপনাদের প্রথমে পরিকল্পনা করে আমাদের বলতে হবে।’

কুয়েট শিক্ষক মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর বিষয়েও কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী। মন্ত্রী বলেন, ‘কুয়েটের কয়েকজন শিক্ষকের অভিযোগ, একদল শিক্ষার্থী তার সঙ্গে অসদাচরণ করেছিলেন। আমি মনে করি কেউ অভিযোগ করলে করতেই পারে। তা প্রমাণের জন্য নানা দিক এবং আইন আছে।

‘মেডিক্যাল টেস্টেরও কিছু বিষয় আছে। আমরা কেউ আইনের ঊর্ধ্বে না। আমাদের কারও প্রতি ভালোবাসা থাকতে পারে, আবার ক্ষোভও থাকতে পারে। আইনি কাঠামোর মধ্য দিয়েই তা সুরাহা করতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় বলেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যখন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তখন তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করা। আমাদের কোনো কাজকর্মে যেন আমাদের প্রিয় অভিভাবক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কষ্ট পেতে না হয়, সেদিকে আমাদের খেয়াল রাখতে হবে।’

বেলা ১১টা থেকে বটতলায় ছাত্রলীগের রক্তদান কর্মসূচি শুরু হয়। এতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা রক্তদান করেন। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলে।

ছাত্রলীগের দপ্তর সেল সূত্রে জানা যায়, শনিবারের কর্মসূচি থেকে ৪৩৭ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ মেডিক্যালেও এই কর্মসূচি চলে। সব মিলিয়ে ৫২০ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এই রক্তদান কর্মসূচিতে ছাত্রলীগের বিভিন্ন মেডিক্যাল ইউনিটের নেতাকর্মীরা সহযোগিতা করেন।

ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জামাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. ইকবাল আর্সলান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) চক্ষুবিজ্ঞান বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. নুজহাত চৌধুরী, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. এম এ আজিজ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিভাগের আরো খবর