বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘১৪৪ ধারা আর কোথাও দিয়ে লাভ হবে না। ধারার সময় শেষ হয়ে গেছে। অন্যান্য জায়গার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ধারায় কাজ হয়নি। জোয়ার শুরু হলে বাঁধ দিয়ে রাখা যায় না।’ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শনিবার বিকেলে তিনি এ কথা বলেন।
আমির খসরু বলেন, ‘সময় এসেছে হত্যাকারী, দুর্নীতিবাজ সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়ার। তাদের বয়কট করতে হবে। সরকারকে বলছি, আপনারা জনগণকে সুরক্ষা দেয়ার দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন।’
মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষ জেগে উঠেছে। ওই পথ থেকে সরে আসুন।’
সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘কাউকে ক্ষমতায় রাখার জন্য আপনারা চাকরি করেন না। আমলা হয়েছেন দেশের মানুষের সেবা করার জন্য।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহাসিকভাবে জাতীয়তাবাদী শক্তির। যারা রাজনৈতিকভাবে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, তাদের জায়গা এখানে হবে না। ভবিষ্যতে সব অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করব।
‘যারা এ কাজ করছেন তাদের কেউই রেহাই পাবেন না। বিদেশে পালালেও তাদের ছাড় দেয়া হবে না। এখনও সময় আছে দেশের পক্ষে দাঁড়ান।’কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেন, ‘বেগম জিয়া কারাগারে হেঁটে গেছেন। এখন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারেন না। এর দায় সরকারকে নিতে হবে।’
জেলা বিএনপির সদস্য মো. হাফিজুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়াসহ আরও অনেকে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশ পাঠানোর দাবিতে শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ফুলবাড়িয়া কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সমাবেশ ডাকে জেলা বিএনপি।
একই সময় ছাত্রলীগও একই স্থানে সমাবেশ ডাকে। এ অবস্থায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
শনিবার সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে জেলা প্রশাসন। সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এ অবস্থায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বটতলী বাজারে সমাবেশ করে বিএনপি।