বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানি আনতে বড় প্রণোদনা প্রয়োজন’

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৮:৫৩

ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহ দেয়ার জন্য বিদ্যমান আর্থিক প্রণোদনার হার বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান।

দেশের পুঁজিবাজারে শীর্ষস্থানীয় বেশির ভাগ শিল্পগোষ্ঠীর কোনো উপস্থিতি নেই।

সিটি, যমুনা, আকিজ, আবুল খায়ের, পারটেক্সসহ অনেক বড় গ্রুপের একটি কোম্পানিও এই বাজারে আসেনি। নানা কারণে এই শিল্পগ্রুপগুলো পুঁজিবাজারে আসতে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

এসব কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে আগ্রহী করতে কিছু আর্থিক প্রণোদনা দেয়া হলেও তা তেমন আকর্ষণীয় নয়। একটি কোম্পানি তালিকাভুক্ত হলে আয়করে যে ছাড় পায়, তালিকাভুক্তির কারণে বাড়তি নানা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তার চেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় হয়।

তাই ভালো কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে আসতে উৎসাহ দেয়ার জন্য বিদ্যমান আর্থিক প্রণোদনার হার বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) প্রেসিডেন্ট মো. ছায়েদুর রহমান।

গত বৃহস্পতিবার রাতে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) নবনির্বাচিত কর্মকর্তা ও বিদায়ী কমিটির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন।

সভায় সিএমজেএফের নতুন সভাপতি জিয়াউর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আবু আলী, বিদায়ী সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠানে বিএমবিএ ও সিএমজেএফের কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, পুঁজিবাজারের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীসহ স্টেকহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণে তারা একসঙ্গে কাজ করবেন।

বিএমবিএ সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান বলেন, ‘দেশে ৬৩টি মার্চেন্ট ব্যাংক আছে। অথচ বছরে ১২-১৩টির বেশি আইপিও আসে না। এই বাজারকে বড় করা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে আইপিওর সংখ্যা বাড়ানোর প্রতি মনোযোগ দিতে হবে।’

সিএমজেএফের সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, ‘সেকেন্ডারি বাজারে শেয়ারের দাম বাড়লে-কমলে অর্থনীতির কিছু যায় আসে না। প্রাইমারি মার্কেটের ভালো-মন্দের ওপর অর্থনীতির ভালো-মন্দ নির্ভর করে। তাই অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের অবদান বাড়াতে হলে অবশ্যই নতুন নতুন কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করতে হবে।’

তবে কোনো কোম্পানিকে বাজারে আনার সময় অবশ্যই তার গুণগত মানের বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে বলে মনে করেন জিয়াউর রহমান। অসাধু উদ্যোক্তারা যেন হিসাব কারসাজি করে দুর্বল কোম্পানিকে বাজারে এনে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রতারিত না করতে পারে, সেদিকেও নজর রাখার আহ্বান জানান তিনি।

সিএমজেএফের সদ্য সাবেক সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল বলেন, ‘পুঁজিবাজার বিটের সাংবাদিকরা এই বাজার নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ ও বিশ্লেষণধর্মী রিপোর্ট করতে গিয়ে তথ্য ও পরিসংখ্যান সংকটে ভোগেন। এই বাজার নিয়ে রিসার্চ তেমন হয় না বললেই চলে। দু-একটি প্রতিষ্ঠান কিছু রিসার্চ করলেও সেই রিসার্চ রিপোর্ট শুধু তাদের গ্রাহকদের মধ্যেই সীমিত রাখা হয়।’

এ বাস্তবতায় পুঁজিবাজার ও অর্থনীতি নিয়ে বিএমবিএ নিয়মিত রিসার্চের উদ্যোগ নিতে পারে বলে মনে করেন সিএমজেএফের সদ্য সাবেক সভাপতি। এটি দেশের নীতিনির্ধারকদের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাজে আসবে।

এ ছাড়া সিএমজেএফ এই রিসার্চে যৌথভাবে কাজ করতে পারে বলেও মত দেন হাসান ইমাম রুবেল।

সিএমজেএফের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন বলেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে যেসব কোম্পানি আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে এসেছে, তার বেশির ভাগ সম্পর্কে নানা অভিযোগ আছে। দেখা যায়, আইপিওতে আসার আগের তিন-চার বছরে কোম্পানিগুলোর মুনাফায় উচ্চ প্রবৃদ্ধি দেখানো হয়। কিন্তু আইপিওর পর থেকেই মুনাফা কমে যেতে থাকে। এই প্রবণতা বাজার ও বিনিয়োগকারীদের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।’

তিনি মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর দায়িত্বশীল আচরণ নিশ্চিতে বিএমবিএকে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান।

এ বিভাগের আরো খবর