ঢাকার তুরাগ এলাকায় স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কের জেরে বন্ধুকে খুনের ঘটনায় প্রধান আসামি মো. ইমাম হোসেন ওরফে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করেছেন পটুয়াখালীতে নিযুক্ত র্যাব সদস্যরা।
শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটুয়াখালীর আমতলী উপজেলার গাজীপুর এলাকা থেকে হৃদয়কে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৮ দলটি।
শনিবার দুপুরে পটুয়াখালী র্যাব ক্যাম্পে গ্রেপ্তারের কথা জানান র্যাবের ইনচার্জ লে. কমান্ডার মো. শহিদুল ইসলাম (বিএন)।
র্যাব জানায়, ছোটবেলার বন্ধু হওয়ায় রাসেল তার বন্ধু হৃদয়ের সঙ্গে তুরাগের একটি বস্তিতে বসবাস করতেন। একই ঘরে হৃদয়, তার স্ত্রী ও বন্ধু রাসেল থাকতেন। এভাবে ধীরে ধীরে রাসেলের সঙ্গে হৃদয়ের স্ত্রীর বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় নিজ ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ দেখে সন্দেহ হয় হৃদয়ের। পরে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধু রাসেলকে তিনি আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন।
কিংকর্তব্যবিমূঢ় হৃদয় ক্ষিপ্ত হয়ে বন্ধু রাসেলকে প্রথমে কিল-ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে ঘরে থাকা একটি ছুরি দিয়ে রাসেলকে একের পর এক আঘাত করেন। এ সময় স্ত্রী এগিয়ে এলে তাকেও জখম করেন হৃদয়।
ঘটনার পর ঘর থেকে বের হয়ে শ্বশুরকে ফোন করে হৃদয় জানান, তার স্ত্রী ও রাসেল মারামারি করেছে। তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরে পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা হৃদয়ের স্ত্রী ও রাসেলকে উদ্ধার করে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় পরের দিন ৫ জানুয়ারি রাসেলের বাবা মো. সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে হৃদয়কে একমাত্র আসামি করে তুরাগ থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর ওই দিন রাতেই গাবতলী থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে বাসে চড়েন হৃদয়। পরদিন কুয়াকাটা থেকে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার গাজীপুর এলাকায় জনৈক মনিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করেন।
এ অবস্থায় র্যাব সদর দপ্তরের নির্দেশে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে হৃদয়ের অবস্থান চিহ্নিত করে শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া হৃদয় কুমিল্লার মুরাদনগর থানার ময়নামতি এলাকার মো. ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তার বন্ধু রাসেল ও স্ত্রী একই এলাকার বাসিন্দা।