রাজবাড়ীর পাংশায় নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনায় ৭২ রাউন্ড গুলি ও গ্যাস শেল নিক্ষেপ করেছে পুলিশ।
এ ছাড়া ফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে নির্বাচনের রাতে দায়িত্বরত পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের ওপর হামলা, নির্বাচনি সরঞ্জাম ছিনতাই চেষ্টাসহ পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় দুই চেয়ারম্যানসহ পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে আসামি করে চারটি মামলা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে পাংশা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সুমন কুমার সাহা জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার পুলিশ ও তিন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা পৃথকভাবে পাংশা মডেল থানায় মামলাগুলো করেছেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, নির্বাচনের পর ভোট গণনায় অনিয়ম হয়েছে দাবি করে বাহাদুরপুর ইউনিয়নের শহীদ খবিরুউজ্জামান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের মাঠে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সজীব হোসেনের নেতৃত্বে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়।
এ ছাড়া প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যদের অবরুদ্ধ করে নির্বাচনি মালামাল ছিনিয়ে নেয়ারও চেষ্টা হয়। সে সময় পুলিশ চার রাউন্ড গুলি ও চার রাউন্ড গ্যাস শেল বর্ষণ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে।
অন্যদিকে একই ইউনিয়নের বিলগজারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ফলাফল প্রদান শেষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশ সদস্যরা পাংশার উদ্দেশে রওনা হতেই স্থানীয় তারাপুর দাখিল মাদ্রাসা এলাকায় একই প্রার্থীর সমর্থকরা হামলা চালান। এ সময় তারা ভোটের মালামাল ছিনতাই চেষ্টার পাশাপাশি পুলিশের দুটি গাড়িও ভাঙচুর করেন। এতে গাড়িচালক পুলিশ কনস্টেবল সাকিব আহত হন।
ওই কেন্দ্রের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৬১ রাউন্ড শটগানের গুলি ও তিন রাউন্ড গ্যাস শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার পুলিশ ও প্রিসাইডিং কর্মকর্তা সফুরা খাতুন, মুস্তাফিজুর রহমান, ইমদাদুল হক বাপ্পী বাদী হয়ে পৃথক চারটি মামলা করেন পাংশা মডেল থানায়।
মামলায় বাহাদুরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির শাকিল, নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান মো. সজীব হোসেনসহ ১৫-১৬ জনের নাম উল্লেখ করে পাঁচ শতাধিক নারী-পুরুষকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। বর্তমানে ওই এলাকার নারী-পুরুষদের মধ্যে গ্রেপ্তার-আতঙ্ক বিরাজ করছে।