বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মুরাদের বিরুদ্ধে জিডি তদন্তের আবেদন আদালতের পথে

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:৩৯

রাজিব হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালতে আবেদনের কাগজটি থানার ডাকে যাবে। এটা তো স্পেশাল মেসেঞ্জার দিয়ে পাঠানো হচ্ছে না, থানার অন্য কাগজের সঙ্গে এ কাগজটাও ডাকে পাঠানো হচ্ছে। কাগজটা কোর্টে পৌঁছালে সেখানে উত্থাপন হবে। পরে কোর্ট কবে তারিখ দেয় বা বাদীকে ডাকতেও পারেন। বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন।’

সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর করা সাধারণ ডায়েরির (জিডি) তদন্তের জন্য আদালতের অনুমতি চেয়ে আবেদনের কাগজপত্র ডাকে পাঠানো হয়েছে।

শনিবার সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. স্ত্রী জাহানারা এহসান তার বিরুদ্ধে মারধর, মানসিক নির্যাত ও হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে ধানমন্ডি থানায় জিডি করেন।

নিরাপত্তাহীনতায় পড়ার কথা জানালে পুলিশ জাহানারা এহসানের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার কথা জানায়।

তার অভিযোগ আমলে নিয়ে ধানমন্ডি থানার উপপরিদর্শক রাজিব হাসানকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়।

ডাকের মাধ্যমেই আবেদনের কাগজ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। প্রতিদিনের কাগজপত্র পুলিশ সদস্যের একজন সংগ্রহ করে পৌঁছে দেন আদালতে। সে প্রক্রিয়াতেই যাচ্ছে বলে জানান তিনি।

রাজিব হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালতে আবেদনের কাগজটি থানার ডাকে যাবে। এটা তো স্পেশাল মেসেঞ্জার দিয়ে পাঠানো হচ্ছে না, থানার অন্য কাগজের সঙ্গে এ কাগজটাও ডাকে পাঠানো হচ্ছে। কাগজটা কোর্টে পৌঁছালে সেখানে উত্থাপন হবে। পরে কোর্ট কবে তারিখ দেয় বা বাদীকে ডাকতেও পারেন। বিষয়টা প্রক্রিয়াধীন।’

এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘জিডির তদন্ত করতে আদালতের অনুমতি নিতে হয়। এটাই নিয়ম, এটাই আইনি প্রক্রিয়া। মুরাদ হাসানের স্ত্রীর অভিযোগ অধর্তব্য অপরাধের মধ্যে পড়ে।

‘এটাতো এফআইআর না, যে এজাহার নিয়ে মামলা করে দেব। সেটা হলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ এর তদন্ত শুরু করে।’

মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় ডাকা হবে কি না জানথে চাইলে তিনি বলেন, ‘কোর্ট যদি এটার তদন্তের অনুমতি দেয়, হয়তোবা দেবে এটাই নিয়ম; অনুমতি দিলে কাগজটা পেলে আমরা নোটিশ করব।’

মুরাদ হাসানের স্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয়ে দেখভাল বিষয়ে রাজিব হাসান বলেন, ‘মুরাদ সাহেবের স্ত্রী এখন ধানমন্ডির বাসাতে আছেন। তার নিরাপত্তার ব্যাপারে সার্বক্ষণিক তার সঙ্গে আমরা যোগাযোগ রাখছি। তিনি যাতে কখনও ইনসিকিউর ফিল না করেন তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।

‘মুরাদ সাহেব যেহেতু বাসায় নেই, ওই অর্থ ইনসিকিউর ফিল করারও কোনো কারণ নেই। তার পরেও আমাদের নম্বর তার কাছে আছে কোনো সমস্যা হলেই তিনি জানাবেন।

‘অভিযোগ করার পর মুরাদ হাসানের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ হয়েছে কিনা’ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না এখনো হয় নাই। যেহেতু তদন্তের অনুমতি হয় নাই, সেহেতু উনার সঙ্গে ওভাবে যোগাযোগ করা হয়নি।’

৯৯৯ নম্বরে মুরাদের স্ত্রীর কল পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ৩টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ডা. মুরাদ হাসানকে তখন বাসায় পাওয়া যায়নি।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুরাদ হাসানের স্ত্রী জাহানারা এহসানের সঙ্গে কথা বলে। তারা অভিযোগ শোনেন এবং ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন। সন্ধ্যার কিছু আগে জাহানারা এহসান পুলিশের গাড়ির সঙ্গে পৃথক গাড়িতে ধানমন্ডি থানায় গিয়ে জিডি করেন।

স্ত্রীর জিডিতে যত অভিযোগ

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন জাহানার এহসান। এতে তিনি অভিযোগ করেন, ‘বিবাদী ডা. মুরাদ হাসানের সঙ্গে ১৯ বছর আগে বিয়েবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বিবাহিত জীবনে আমাদের সংসারে মেয়ে রামিসা ফারিহা রাজকন্যা ‌ও ছেলে হাসান আবরার মাহির যুবরাজ রয়েছে। বিবাদী আমার স্বামী।

‘তিনি একজন সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী। তিনি কারণে-অকারণে আমাকে এবং সন্তানদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছেন। হত্যার হুমকিও দিয়ে আসছেন।’

মুরাদের স্ত্রী জিডিতে উল্লেখ করেন, ‘আজ ৬ জানুয়ারি আনুমানিক বেলা পৌনে ৩টার দিকে বরাবরের মতোই তিনি আমাকে ও আমার সন্তানদের গালিগালাজ করেন এবং মারধর করতে উদ্যত হলে আমি ৯৯৯ নম্বরে কল করি। ধানমন্ডি থানা পুলিশ বাসার ঠিকানায় পৌঁছালে বিবাদী বাসা থেকে বের হয়ে যান। এ অবস্থায় আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। বিবাদী যেকোনো সময় আমার ও আমার সন্তানদের ক্ষতি করতে পারেন।’

এ বিভাগের আরো খবর