ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে দুই গারো কিশোরীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামিসহ মোট ছয়জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ এবং হালুয়াঘাট থানা পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে শনিবার ভোরের দিকে গাজীপুর ও ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সোলায়মেন হোসেন রিয়াদ, শরিফ মিয়া, মিজানুর রহমান, মিয়া হোসেন, রুকন মিয়া ও আবদুল হামিদ। তাদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি চারজন এবং তদন্তে সম্পৃক্ততা পাওয়ায় হামিদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘মামলার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তার করতে তৎপর ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তাদেরকে ধরতে গোয়েন্দা নজরদারিসহ তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অনুসন্ধান চালানো হয়। শনিবার বিকেলে পাঁচজনকে আদালতে পাঠানো হবে। এ ছাড়া ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।
ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক উইং কমান্ডার মো. রোকনুজ্জামান বলেন, ‘শুক্রবার রাতে হালুয়াঘাট এলাকা থেকে প্রধান আসামি রিয়াদকে গ্রেপ্তার করে একটি টিম। পলাতক বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।’
এর আগে হালুয়াঘাট উপজেলার গাজীরভিটা ইউনিয়নে গত ২৮ ডিসেম্বর একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যায় ওই দুই প্রতিবেশী কিশোরী। রাতে ফেরার পথে কয়েকজন তাদের তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে হত্যার হুমকি দেয়া হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর তাদের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাটি জানতে পারেন।
এ ঘটনায় এক কিশোরীর বাবা স্থানীয় প্রাক্তন ইউপি সদস্য আবদুল মান্নানের ছেলে সোলায়মান হোসেন রিয়াদসহ ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে গাজীরভিটা ইউনিয়নে সোমবার বিকেলে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছেন গারো সম্প্রদায়ের শতাধিক নারী-পুরুষ।