বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি: নিখোঁজদের খোঁজে বিক্ষোভ

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২২ ১৪:২৬

নদী পারের এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নেছার উদ্দিন জানান, বেলা সোয়া ১২টার দিকে নিখোঁজদের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় ফতুল্লার ধর্মের গঞ্জের পার ও বক্তাবলীর প্রতাপনগর পারে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন।

নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির ঘটনার চার দিন পরও নিখোঁজ ১০ যাত্রী বা ট্রলারটি উদ্ধার করা যায়নি।

তাই আপনজনদের দ্রুত খুঁজে পেতে নদীর তীরে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা।

শনিবার সকালে বিক্ষোভে উদ্ধারকর্মীদের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন ক্ষুব্ধ জনতা।

দুর্ঘটনায় স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েসহ পরিবারের চারজনকে হারিয়ে দিশেহারা শফিকুল ইসলাম সোহেল।

আপনজনদের খুঁজে পেতে বিক্ষোভ করেন নিখোঁজদের স্বজনরা। ছবি: নিউজবাংলা

তিনি বলেন, ‘৪ দিন পেরিয়ে গেল, এখনও ফিরে পেলাম না স্বজনদের। কী উদ্ধার কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা? গরিব বলে আমাদের স্বজনদের উদ্ধারে তারা কঠোর নন। এ ঘটনা যদি এমপি, মন্ত্রী কিংবা সরকারের বড় বড় আমলাদের সঙ্গে হতো, তাহলে উদ্ধার অভিযানে গতি থাকত।’

তিনি আরও বলেন, ‘পদ্মা ও মেঘনায় লঞ্চডুবির ঘটনায় তারা দ্রুত উদ্ধারকাজ করেছে। কিন্তু ৪ দিনে একটা ট্রলারের সন্ধান করতে পারছে না। আমি আমার স্ত্রী ও ছেলে-মেয়ের লাশ চাই।’

এর আগে সকাল থেকেই চতুর্থ দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের সমন্বিত দল।

নদী পারের এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নেছার উদ্দিন জানান, বেলা সোয়া ১২টার দিকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের স্বজনরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। এ সময় ফতুল্লার ধর্মের গঞ্জের পার ও বক্তাবলীর প্রতাপনগর পারে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে তারা বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভে তারা স্বজনদের মরদেহ ফিরে পাওয়ার আকুতি জানান উদ্ধারকারী দলের কাছে।

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, নিখোঁজদের খুঁজে পেতে স্বজনরা বিক্ষোভ করছেন- এমন খবর পেয়ে পুলিশ নদীর পারে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। তবে উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।

ধলেশ্বরীতে চতুর্থ দিনের মতো চলছে উদ্ধার অভিযান। ছবি: নিউজবাংলা

গত ৫ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ধলেশ্বরী নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলার ডুবে ১০ জন নিখোঁজ হন। অন্তত ৩০ যাত্রী বহনকারী ট্রলারটি এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চের ধাক্কায় ডুবে যায় নদীতে। বেশির ভাগ যাত্রী সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও চার দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন ১০ জন।

সেদিন থেকেই ধলেশ্বরীর তীরে অপেক্ষায় আছেন স্বজনরা।

নিখোঁজ ব্যক্তিরা হলেন ফতুল্লার জিয়াসমিন আক্তার, তাসনিম আক্তার এবং তাসনিমের স্কুলপড়ুয়া ছেলে ও দেড় বছরের মেয়ে। আরও রয়েছেন বক্তাবলীর উত্তর গোপালনগর এলাকার মোতালেব মিয়া, চর বক্তাবলীর আওলাদ হোসেন, একই এলাকার মো. আব্দুল্লাহ, মো. শামসুদ্দিন ও জোসনা বেগম।

নিখোঁজদের খুঁজে পেতে নদীতীরে স্বজনদের অপেক্ষা। ছবি: নিউজবাংলা

ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক আবদুল হালিম জানান, নদীর গভীরতা বেশি। এ কারণে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এখনও শনাক্ত করা যায়নি। নিখোঁজদেরও পাওয়া যায়নি। উদ্ধারকাজে চতুর্থ দিনও নৌবাহিনীর অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা হচ্ছে।

ট্রলারডুবির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এরই মধ্যে এমভি ফারহান-৬ লঞ্চের মাস্টার কামরুল হাসান, চালক জসিমউদ্দিন ভূঁইয়া ও সুকানি জসিম মোল্লাকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় মামলা করেছেন বিআইডব্লিউটিএর উপপরিচালক (নৌ নিরাপত্তা বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, জব্দ করা হয়েছে লঞ্চটিও।

ফতুল্লা মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম জানান, মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে যে কুয়াশার মধ্যে বেপরোয়া গতিতে লঞ্চটি চলছিল। এ কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

এ বিভাগের আরো খবর