পিরোজপুরে নির্মিত হচ্ছে ২৫০ শয্যার জেলা হাসপাতাল। উপকূলীয় ওই এলাকার মানুষের আশা, নতুন হাসপাতালে পাল্টে যাবে জেলার স্বাস্থ্যসেবার চিত্র।
উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদের আর ছুটে যেতে হবে না ঢাকা কিংবা খুলনায়। তাই হাতের কাছে সেবা পাওয়ার নিশ্চয়তায় দিন গুনছেন তারা।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ সৈকত জানান, ২০০৯ সালে পিরোজপুরের ৫০ শয্যার হাসপাতালটিকে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়েছিল। তবে মানুষের চিকিৎসাসেবার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৮ সালে হাসপাতালটিকে ২৫০ শয্যায় উন্নীত করতে নির্মাণকাজ শুরু করে বর্তমান সরকার।
৪৫ কোটি টাকা ব্যয়ে হাসপাতালটির নির্মাণকাজ শেষ হবে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে। ইতিমধ্যেই এর ৭০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে হাসপাতাল নির্মাণের কাজ। ছবি: নিউজবাংলা
সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা যায়, হাসপাতাল নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ১২ তলা বিশিষ্ট হাসপাতাল ভবনের সাততলার নির্মাণকাজ এখন চলছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের জেলা অফিস জানায়, নির্মাণের পর হাসপাতাল ভবনের বেজমেন্টে ৩৫টি গাড়ি ও স্টোর থাকবে। প্রথম তলায় জরুরি, বহির্বিভাগ ও রেডিওলজি বিভাগ থাকবে। দ্বিতীয় তলায় থাকবে প্রশাসনিক অফিস ও বহির্বিভাগ। তৃতীয় থেকে ষষ্ঠ তলায় পুরুষ ও মহিলা ওয়ার্ড ছাড়াও থাকবে অপারেশন থিয়েটার। সপ্তম তলায় থাকবে কেবিন।
মুক্তিযোদ্ধা এবং প্রতিবন্ধীদের জন্য দুটি করে মোট চারটি কেবিন রিজার্ভ থাকবে। এ ছাড়া ২টি ভিআইপি কেবিনসহ মোট ১৮টি কেবিন থাকবে।
হাসপাতালের প্রথম তলায় হবে জরুরি, বহির্বিভাগ ও রেডিওলজি বিভাগ। ছবি: নিউজবাংলা
এদিকে শহরের প্রাণকেন্দ্রে ২৫০ শয্যার এই হাসপাতাল ভবন নির্মাণে আনন্দ প্রকাশ করেছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।
স্থানীয় মরিয়ম বেগম বলেন, ‘একটু সুচিকিৎসার জন্য ঢাকা বা খুলনা ছুটে যেতে হতো এই জেলার মানুষদের। তবে সেই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে যাচ্ছে দক্ষিণের জেলা পিরোজপুরের মানুষ। এই হাসপাতালটি অনেক জরুরি ছিল।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. হাসনাত ইউসুফ জাকী বলেন, ‘ডিসেম্বরের মধ্যে হাসপাতালটি চালু হলে এখান থেকে করোনাসহ সব ধরনের চিকিৎসাসেবা আমরা দিতে পারব।’