কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এক নারীকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদে কথিত এক পিরের দরবারে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে গ্রামবাসী।
উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের কল্যাণপুর গ্রামের তাছের পিরের দরবারে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা।
ভেড়ামারা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইয়াসির আরাফাত নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তবে অনুসারীদের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ এনে এলাকাবাসী দরবারে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন দিয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ সুপার জানান, শুক্রবার বিকেলের দিকে তাছের নামের ওই পিরের দরবার শরীফের পাশের একটি মুদি দোকানে কেনাকাটা করতে যায় স্থানীয় এক তরুণী। এ সময় দরবারের বহিরাগত কিছু অনুসারী তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে।
এ নিয়ে বিকেলের দিকেই দরবারের অনুসারীদের সঙ্গে স্থানীয়দের বাগবিতণ্ডা হয়। এর জেরে সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী দরবারে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় দৌলতপুর থানা পুলিশ। রাত ৮টার দিকে ভেড়ামারা ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে দরবার শরিফের অনুসারীরা বলেন, ‘ভক্তদের নামে মিথ্যা অভিযোগ এনে দরবারে ভাঙচুর চালানো হয়েছে। আগুন লাগিয়ে দুটি ঘর পুড়িয়ে দিয়েছে। ভক্তদের মারপিট করে আহত করে এবং একটি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দিয়েছে তারা।
‘আমরা স্থানীয় ওই সন্ত্রাসী বাহিনীদের শাস্তি চাই। আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলা করব। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ ঘটনা ঘটিয়েছে এলাকাবাসী।’
এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান ভক্তরা।
হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সেলিম চৌধুরী বলেন, ‘স্থানীয় একটি মেয়েকে ইভ টিজিং করাকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে।’
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবীদ হাসান শনিবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগুনে দুটি ছাপরা ঘর ও একটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে।
‘এ ঘটনায় এখনও কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’
পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত বলেন, ‘এলাকায় সংঘর্ষ এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’