রাজধানীর কাপ্তান বাজারে মুরগি পট্টিতে ভয়াবহ আগুনে এক দোকান কর্মচারীরার মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের প্রায় সোয়া এক ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন। ততক্ষণে পুড়ে যায় ৩০-৩৫টি দোকান।
বাহিনীটির নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার দেওয়ান আজাদ শনিবার সকালে নিউজবাংলাকে বলেন, ভোর পৌনে ৫টার দিকে আগুন লাগার খবর পান তারা। সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট ছুটে যায়। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে সকাল ৬টা ১২ মিনিটে।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা বলেন, ‘আগুনে ইয়াসিন নামের এক দোকান কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।’
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী কাপ্তান বাজারে রয়েছে বিভিন্ন পণ্যের শত শত দোকান। মুরগির পট্টিতেই দোকানের সংখ্যা অর্ধশতাধিক। এসব দোকানে বিভিন্ন জাতের মুরগির মাংস ও ডিম বিক্রি করা হয়।
এই নিয়ে রাজধানীতে টানা তিন দিনে পাঁচটি আগুন লাগার ঘটনা ঘটল।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে গ্রিন রোডের আরএস টাওয়ারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নেভানো হয়।
আগের দিন তিন জায়গায় আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে বেলা ১১টার দিকে আগুনে বাংলামোটরের রাহাত টাওয়ারে আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় যমুনা টিভির একটি সেন্টার।
এই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতেই রাজধানীর তুরাগ থানাধীন বাউনিয়া এলাকায় একটি ইজি বাইক কারখানায় আগুন লাগার খবর আসে। ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট দেড় ঘণ্টার বেশি সময়ের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ওই দিন রাত সাড়ে ৯টায় মহাখালী ফ্লাইওভারে একটি প্রাইভেট কারে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
এসব আগুনে অবশ্য কেউ হতাহত হয়নি।