বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘নির্যাতিত’ শ্বশুরবাড়িতে, মরদেহ মিলল বাবার বাড়িতে

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ২০:৫৪

বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়ার জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন খাদিজাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। নির্যাতন সইতে না পেরেই সম্প্রতি তিনি বাবার বাড়িতে যান।

মাদারীপুরের কালকিনিতে বাবার বাড়িতে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে ছিল এক সন্তানের জননী খাদিজা বেগমের মরদেহ।

খাদিজার বাবার বাড়ির অভিযোগ, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের নির্যাতন সইতে না পেরেই বাবার বাড়িতে গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতের ওই ঘটনার পর থেকেই ২২ বছর বয়সী ওই গৃবধূর ম্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছেন।

শুক্রবার সকালে খাদিজার মরদেহটি উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে পাঠায় কালকিনি থানা পুলিশ।

কালকিনি থানার ওসি মো. নাসিরউদ্দিন নিহতের পরিবারের বরাতে জানান, কালকিনি উপজেলার সিডি খান এলাকার নতুন চরদৌলত খান গ্রামের কৃষক কামাল ব্যাপারীর মেয়ে খাদিজা বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের মোনাব্বর খানের ছেলে হাসান খানের প্রায় চার বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।

বিয়ের সময় স্বর্ণালঙ্কারসহ নদগ অর্থও দেয় ওই গৃহবধূর পরিবার। বিয়ের পর এক কন্যার জন্ম দেন খাদিজা; যার বয়স এখন তিন বছর।

এদিকে বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন সময় বাবার কাছ থেকে টাকা নেয়ার জন্য স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন খাদিজাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিল। নির্যাতন সইতে না পেরেই সম্প্রতি তিনি বাবার বাড়িতে যান।

ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী হাসান খান খাদিজাকে ফোন করে দাবি করা যৌতুকের টাকা নিয়ে স্বামীর বাড়িতে যেতে বলেন। এ নিয়ে স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে ফোনেই ঝগড়া হয়।

ঝগড়ার পর সেদিন রাতে খাদিজা নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। কিন্তু সকালে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ফ্যানের সঙ্গে তার মরদেহ ঝুলতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে গৃহবধূর বাবা কামাল ব্যাপারী বলেন, ‘বিয়ের সময় আমার মেয়ের স্বামীকে স্বর্ণালঙ্কারসহ নগদ টাকা দিয়েছি। সে আবারও টাকা দাবি করেছিল। আমি গরিব মানুষ, টাকা কোথা থেকে দেব?

‘টাকা নিয়ে ফোনে আমার মেয়ে ও জামাই ঝগড়া করে। এর জের ধরে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। আমার মেয়েকে টাকার জন্য তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন করত।’

এ বিভাগের আরো খবর