দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে আলোকডিহি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট গণনার সময় হামলার অভিযোগে করা মামলায় পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মির্জা লিয়াকত আলী বেগ লিটনসহ ১৯ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে তাদের আদালতে নেয়া হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার জানান, ৫ জানুয়ারি গছাহার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট গণনার সময় ভেতরে ঢুকে নির্বাচনি সামগ্রী ছিনতাইয়ের চেষ্টা চালানো হয়। এ সময় ভোটে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ভাঙচুর এবং নারী কনস্টেবলসহ চারজনকে মারধরের ঘটনা ঘটে। এসব অভিযোগে করা মামলায় ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার ওই কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করা এএসআই বেলাল হোসেন বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় মামলা করেন।
মামলায় বলা হয়েছে, পঞ্চম ধাপে আলোকডিহি ইউপির ভোট গণনা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ওই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আমিনুল হক ফল ঘোষণা করেন।
এ সময় চেয়ারম্যান প্রার্থী মির্জা লিয়াকতের নেতৃত্বে তিন শ-সাড়ে তিন শ লোক লোহার রড, ছোরা ও লাঠিসোটা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে। তারা প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পুলিশ, আনসারসহ দায়িত্বরতদের ওপর হামলা চালায়।
তারা ভোটকেন্দ্রে অরাজকতা সৃষ্টি, নির্বাচনি সামগ্রী ছিনতাইয়ের চেষ্টা এবং সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করে। তাদের হামলায় আহত হন দায়িত্বরত এএসআই বেলাল হোসেন, কনস্টেবল এসমোতারা খাতুন, আবু জাহের, তুষার চন্দ্র রায় ও জাহিরুল ইসলাম।
এ সময় পুলিশ দুই রাউন্ড সাউন্ড গ্রেনেড এবং দুই রাউন্ড গ্যাস শেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মির্জা লিয়াকতসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৩০০-৩৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
বুধবার আলোকডিহি ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাজউদ্দিন হোসেন শাহ্ আনারস প্রতীকে ৩ হাজার ৯৩৭ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মির্জা লিয়াকত মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ৩ হাজার ৫৬৯ ভোট।