বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওমিক্রন নিয়ে সতর্কতা, টিকা নেয়ার অনুরোধ প্রধানমন্ত্রীর

  •    
  • ৭ জানুয়ারি, ২০২২ ১৯:৫৫

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সাল গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হয়েছে। সে সংকট এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের এখনই সাবধান হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকা নেয়ার অনুরোধ জানাই।’

করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত দুই বছর সংকটময় পরিস্থিতিতে কাটাতে হয়েছে জানিয়ে ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সেই সঙ্গে তিনি সবাইকে করোনার টিকা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সরকারের টানা তৃতীয় মেয়াদের তিন বছর পূর্তি উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ ও ২০২১ সাল গভীর সংকটের মধ্য দিয়ে অতিক্রম করতে হয়েছে। সে সংকট এখনও কাটেনি। এর মধ্যেই আবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। আমাদের এখনই সাবধান হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। যারা টিকা নেননি, তাদের দ্রুত টিকা নেয়ার অনুরোধ জানাই।’

সরকারপ্রধান বলেন, ‘এখন পূর্ণোদ্যমে কোভিড-১৯ টিকাকরণের কাজ চলছে। চলতি মাস থেকে গণটিকা প্রদানের মাধ্যমে প্রতি মাসে এক কোটি মানুষকে টিকার আওতায় আনার কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

‘এখন পর্যন্ত ১২ কোটি ৯৫ লাখ ৮০ হাজার ডোজ টিকা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ পেয়েছেন প্রায় ৭ কোটি ৫৮ লাখ মানুষ, আর দুই ডোজ পেয়েছেন ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৮২ হাজার।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘গত মাস থেকে বুস্টার ডোজ দেয়া শুরু হয়েছে। বর্তমানে আমাদের হাতে সাড়ে ৯ কোটিরও বেশি ডোজ টিকা মজুত আছে।’

করোনার বিশ্ব পরিস্থিতি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারি বিশ্ব অর্থনীতিতে এক গভীর ক্ষতের সৃষ্টি করেছে। অনেক দেশের অর্থনীতিতে ধস নেমেছে। আমাদের অর্থনীতিও ক্ষতির মুখে পড়েছে। নেমে এসেছিল স্থবিরতা।

‘তবে আপনাদের সহায়তায় আমরা তা অনেকটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছি। বিভিন্ন নীতি-সহায়তা এবং বিভিন্ন উদার-নৈতিক আর্থিক প্রণোদনা প্যাকেজ প্রদানের মাধ্যমে আমরা অর্থনীতির চাকাকে সচল রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ২৮টি প্যাকেজের মাধ্যমে ১ লাখ ৮৭ হাজার ৬৭৯ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছি। এর মধ্যে অক্টোবর পর্যন্ত ১ লাখ ৬ হাজার ৫২২ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে, যা মোট বরাদ্দের ৫৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ। এতে প্রায় ৬ কোটি ৭৪ লাখ মানুষ উপকৃত হয়েছেন এবং প্রতিষ্ঠান উপকৃত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ১৮ হাজার।’

সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা বলেন, ‘করোনাভাইরাসের অভিঘাত মোকাবিলা করে গত অর্থবছরে আমাদের জিডিপি ৫ দশমিক ৪৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রক্ষেপণ অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০২১ সালে মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ মার্কিন ডলারে।’

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে জিতে পরের বছরের জানুয়ারির শুরুতে সরকার গঠনের পর থেকে এখন পর্যন্ত টানা ক্ষমতায় আওয়ামী লীগই। এর আগে দেশে কোনো সরকার এত বেশি দিন সরকারে থাকেনি।

শেখ হাসিনা টানা তৃতীয় মেয়াদের সরকার গঠন করেন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনে ভোটের অষ্টম দিনের মাথায়। শপথগ্রহণের তৃতীয় বছর পূর্ণ হলো শুক্রবার।

প্রতি বছর সরকার গঠনের বার্ষিকীতে জাতির উদ্দেশে আসেন শেখ হাসিনা। এবারও ব্যতিক্রম হয়নি।

এ বিভাগের আরো খবর