ছুটির দিনে জমে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা।
শুক্রবার দুপুরের পর থেকে পূর্বাচলে মেলা প্রাঙ্গণে ভিড় বাড়তে শুরু করে। এরপর সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে দশনার্থীদের সংখ্যা।
কেউ পরিবার-পরিজন নিয়ে, কেউ বা বন্ধুদের নিয়ে এসেছেন মেলায়। স্টলে স্টলে ঘুরে নানা পণ্য কিনছেন ক্রেতারা। কেউবা মেতেছেন আড্ডায়, তুলছেন ছবি।
মেলার গেটে দায়িত্বে থাকা কর্মীরা বলছেন, বিকেল পর্যন্ত ক্রেতাদের যে সংখ্যা তা বৃহস্পতিবার সারাদিনের প্রায় সমান। তারা আশা করছেন, সন্ধ্যার পর এই সংখ্যা বেড়ে আগের দিনের প্রায় দ্বিগুণ হবে।
টিকিট ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের কর্মী সোহেল জানান, মেলার গেট দিয়ে যতজন প্রবেশ করছেন তাদের সংখ্যা মেলায় স্থাপন করা ডিজিটাল মেশিনে দেখা যায়। বিকেল পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার দর্শনার্থী মেলায় এসেছেন, যা বৃহস্পতিবারের চেয়ে বেশি। সাধারণত প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ভিড় বাড়ে।
রূপগঞ্জ থেকে মেলায় এসছেন আমানুল্লাহ। সঙ্গে এনেছেন পরিবারের সদস্যদের। তিনি বলেন, ‘ছুটির দিন হওয়ায় আজ সবাইকে নিয়ে মেলায় এসেছি। ঘুরে ঘুরে দেখছি স্টলগুলো। তবে আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলায় জায়গাটি ছিল বিশাল। এখানে সব কিছুই বিল্ডিংয়ের মধ্যে, জায়গা ছোট। এখনও মানুষ আসা শুরু করেনি, তাতেই মনে হচ্ছে এখানে জায়গা হবে না।’
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের বেশিরভাগই আশেপাশের এলাকার বাসিন্দা। দূরের দর্শনার্থী কম।
উত্তরা থেকে মেলায় এসেছেন রুবেল হোসেন। বলেন, ‘আগের বাণিজ্য মেলায় কেনাকাটা করা যেত, সঙ্গে ঘোরাফেরা করা যেত। এখানে জায়গা খুব কম।’
বেশি দর্শনার্থী এলেও তারা কেনাকাটা কম করছেন বলে জানান বিক্রেতারা। ‘নাসিম কাশ্মীরি শাল’ স্টলের বিক্রেতা নাজমুল বলেন, ‘শাল মোটামুটি বিক্রি হচ্ছে। খাবার, ফার্নিচার ও অন্য জিনিসের বিক্রি কম। গত পাঁচ-ছয় দিনের তুলনায় আজ তিনগুণ মানুষ এসেছে। আমাদের বিক্রিও গতকালের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।’
অ্যাপেক্সের শোরুম ইনচার্জ নাসিম পারভেজ বলেন, ‘মেলায় ভিড় হলেও কোনাকাটা হচ্ছে কম। ১৫ দিন গেলে বোঝা যাবে মেলার বেচাকেনা কেমন হবে।’
মেলার পরিচালক ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম ছুটির দিনেই মেলায় ভিড় বেড়েছে। দুপুরের পর থেকে জমে উঠেছে মেলা। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে ভিড় আরও বাড়বে।’