ভোলা সদরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে পঞ্চম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থীর ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।
ভোলা সদর থানায় শুক্রবার দুপুরে এ অভিযোগ করেন নৌকা প্রতীকে জয়ী চেয়ারম্যান আব্দুস সালামের ছেলে মনিরুজ্জামান লিটন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়, আওয়ামী লীগ থেকে আব্দুস সালামকে মনোনয়ন দেয়া হয় ও তিনি ভোটে জয়ী হন। এতে প্রতিহিংসার বশে সদর উপজেলার ভেলুমিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিটন মাল ছোট ভাই শরীফকে দিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সালামের পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালান।
এতে চেয়ারম্যানের ছেলে মনিরুজ্জামান লিটনসহ ১০ জন আহত হন। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার পর ভেলুমিয়া বাজারে সালাম ও লিটন মালের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে লিটন মাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান সালামের ছেলের গাড়ি এক পথচারীকে ধাক্কা দেয়। আমার ভাই শরীফ বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করতে গেলে মনির তাকে ধাক্কা দেয়।
‘একপর্যায়ে স্থানীয়দের সঙ্গে মনিরের ঝামেলা শুরু হয়। খবর পেয়ে আমি পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়েছিলাম। কারো ওপর হামলা করতে নয়।’
দলীয় মনোনয়ন নিয়ে কোনো বিরোধ নেই জানিয়ে লিটন মাল বলেন, ‘দলের সিদ্ধান্তের বাইরে আমি কোনো কাজ করি না। আওয়ামী লীগ থেকে তাকে মনোনয়ন দেয়ায় আমরা তৃণমূল আওয়ামী লীগের সবাই মিলে তাকে দ্বিতীয় বারের মতো বিজয়ী করি।
‘এখন উনি আমাকে পথের কাঁটা মনে করেন। তাই এ ধরনের গুজব ছড়াচ্ছেন যেন আমার ভাবমূর্তি নষ্ট হয়।’
অভিযোগ পেয়ে ওসি এনায়েত জানান, পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ঘটনায় ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘ভেলুমিয়া ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের পরিবারের ওপর হামলার কথা শুনেছি। নির্বাচন পরবর্তী দলীয় ফোরামের সভায় বিষয়টি তুলে তদন্ত কমিটি করা হবে। এতে যদি দলের কোনো নেতা-কর্মীর সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’