প্রতারণা, অর্থ আত্মসাৎ ও চাঁদা দাবির মামলায় আশিয়ান গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলাম সিআইডির দেয়া প্রতিবেদন আমলে নিয়ে বুধবার পরোয়ানা জারি করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম মনির এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল নিয়ে প্রতিবেদন দিতে পুলিশকে ১ ফেব্রুয়ারি দিন ঠিক করে দিয়েছে আদালত।
আশিয়ান গ্রুপের দুই কর্মকর্তার নামে গত বছরের ৩ জুন আদালতে অভিযোগ দেন আলী হোসেন নামে এক ঠিকাদার। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে সিআইডিকে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন।
মামলাটি তদন্ত করে গত ১১ নভেম্বর দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেন সিআইডির পরিদর্শক (নিরস্ত্র) হারুন অর রশীদ। গত ৮ ডিসেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। আদালত সে আবেদন বিবেচনায় বুধবার আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে।
মামলায় বলা হয়, ঠিকাদার আলী হোসেন ২০১৫ সালের ২৮ নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত নজরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। পাওনা ৩ কোটি ৪ লাখ ২৪ হাজার ৭৮৫ টাকার বিল দিলে আশিয়ান গ্রুপ ১ কোটি ৬০ লাখ টাকা পরিশোধ করে।
পাওনা প্রায় দেড় কোটি টাকা না দিয়ে নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া হয়রানি করতে থাকেন। ৩০ মে বিকেলে তাগাদা দিতে এমডির অফিসে গেলে তিনি রেগে যান। তখন নজরুলের নির্দেশে জাকির হোসেনসহ দু-তিনজন আলী হোসেনকে ধরে আশিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে আটকে রাখেন।
এ সময় আসামিরা একটি মোবাইল, নগদ ২৮ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।