ভোলা সদরের তিন ইউনিয়নে ভোটের পর সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকদের সহিংসতায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ৩০ জন ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এ সময় ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পূর্ব ইলিশা, ধনিয়া ও বাপ্তা ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সকালে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী সদস্য লিটন সিকদার লোকজন নিয়ে ভোটারদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে বের হন। এ সময় পরাজিত সদস্য প্রার্থী শাহে আলমের সমর্থকরা হামলা করেন। দুই গ্রুপের দফায় দফায় সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এ সময় লিটন সিকদারের বাড়ির কাচারি ঘরে আগ্নিসংযোগ এবং সমর্থকদের মোটরসাইকেল ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। এতে দুই পক্ষের ৩০ জন আহত হন। আহতদের ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহে আলম জানান, লিটনের সমর্থকরা তার সমর্থকদের বাড়িঘরে হামলা করে। বাধা দিতে গেলে তার দুই ছেলে শাহিন, রুবেলসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন।পুলিশ জানায়, বাপ্তা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজয়ী সদস্য মাকসুদর রহমান নিরবের ওপর হামলা হয়েছে। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মিজান ও হোসেন নামে দুজন আহত হন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
এ ছাড়া ধনিয়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং শিবপুর ইউনিয়নেও সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।
ভোলা সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) আরমান হোসেন জানান, সহিংসতা রোধে প্রত্যেকটি ইউনিয়নে পুলিশের মোবাইল টিম কাজ করছে। তিন ইউনিয়নে সহিংসতা তাৎক্ষণিক নিয়ন্ত্রণে এনেছে পুলিশ। তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার নিরুপম সরকার জানান, সকাল থেকেই বিভিন্ন এলাকায় সহিংসতায় আহতরা হাসপাতালে ভর্তি হন।
পঞ্চম ধাপে ওই সব ইউনিয়নে ভোট হয় বুধবার।