মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়নে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় নবনির্বাচিত চেয়ারম্যানের সমর্থককে গলা কেটে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আওয়ামী লীগের পরাজিত প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
ইউনিয়নে গোয়ালগাঁও গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।হামালায় জড়িত সন্দেহে ইব্রাহিম নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।এ ঘটনায় গুরুতর আহত আমান উল্লাহকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ৫০ বছর বয়সী আমান ওই গ্রামের বাসিন্দা।
আহত আমানের ছেলে শাহ আলম জানান, তার বাবা হোসেন্দী ইউপিতে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কাজী আক্তার হোসেনের কর্মী ছিলেন। পরাজয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মিঠুর সমর্থকরা সকাল ১০টার দিকে তাদের বাড়িতে হামলা চালান। তার বাবা দৌড়ে চাচার বাড়িতে ঢুকলেও রেহাই পাননি।
তিনি জানান, তারা সেখানে ঢুকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আমান উল্লাহর গলা কেটে চলে যান। তার গলা, ঘাড়, পেটসহ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
পরিবারের লোকজন আমানকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন জানান, আমান উল্লাহ তার একনিষ্ঠ কর্মী। শুধু তার পক্ষে নির্বাচন করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুর সমর্থকরা তাকে গলা কেটে হত্যা করতে চেয়েছেন।
এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
মনিরুল হক মিঠু জানান, নির্বাচনে তিনি হেরেছেন ঠিকই, তবে কোনো রকম সহিংসতার ইচ্ছা তার নেই। তিনি ফল মেনে নিয়েছেন।
তিনি বা তার কোনো কর্মী এ ঘটনায় জড়িত নয় উল্লেখ করে বলেন, ‘বিজয়ী আক্তার হোসেন রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য নিজস্ব লোকের মাধ্যমে এ কাজ করেছেন।’
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রইছ উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
পঞ্চম ধাপের নির্বাচনে বুধবার গজারিয়ার হোসেন্দী ইউনিয়ন পরিষদ ভোটে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনিরুল হক মিঠুকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী আক্তার হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।