বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ওমিক্রন রোধে পুলিশ সদস্যদের জন্য ২১ নির্দেশনা

  •    
  • ৬ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:৫৩

করোনা পরিস্থিতিতে পুলিশ সদস্যদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সদর দপ্তর থেকে এসব নির্দেশনা উল্লেখ করে সার্কুলার জারি করা হয়।

করোনা ভাইরাসের অতি সংক্রামক নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন থেকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ২১ দফা নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর।

সম্প্রতি বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (অপারেশনস্-২) মোহাম্মদ উল্ল্যা স্বাক্ষরিত এক সার্কুলারে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো:

১. দায়িত্বরত অবস্থায় পুলিশের প্রতিটি সদস্যকে অবশ্যই মাস্ক, গ্লাভস, হেডকভার ও ফেসশিল্ড পরা।

২. দায়িত্ব পালনকালে কিছু সময় পর পর হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে এবং নিয়মিত ডিউটি শেষে সাবান/হ্যান্ড ওয়াশ দিয়ে হাত পরিষ্কার কর।

৩. কোডিড-১৯ (ওমিক্রন) উপসর্গ দেখা দিলে আইসোলেশন সেন্টারে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা। ৪. প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে দ্রুত সময়ের মধ্যে কোডিড-১৯ ভ্যাকসিন নিতে হবে। এক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জকে অধীনস্ত পুলিশ ও নন-পুলিশ সদস্যদের ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করা।

৫. পুলিশের সব ইউনিটে ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ এবং ‘নো মাস্ক নো এন্ট্রি’ নির্দেশনা প্রতিপালন করা এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে মাস্কের ব্যবস্থা রাখা।

৬. দায়িত্বরত অবস্থায় সব ক্ষেত্রে শারীরিক দূরত্ব (কমপক্ষে ৩ ফুট বা ১ মিটার), হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা।

৭. সেবাগ্রহীতা ও দর্শনার্থীদের পুলিশ স্থাপনায় প্রবেশের ক্ষেত্রে শরীরের তাপমাত্রা নির্ণয় ও হাত ধোয়া/স্যানিটাইজ নিশ্চিত করা।

৮. প্রতিটি পুলিশ সদস্যের ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী (মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি) ব্যবহার নিশ্চিত করা।

৯. অপারেশনাল কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র, হ্যান্ডকাফ, রায়ট গিয়ার, হ্যান্ডমাইক, মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে ইত্যাদি যথাযথভাবে জীবাণুমুক্ত করা।

১০. ডিউটি শেষে আবাসস্থলে প্রবেশের আগে ইউনিফর্ম ও জুতা ভালোভাবে জীবাণুমুক্ত করা এবং সাবান দিয়ে গোসল করা।

১১. ডাইনিং রুম, ক্যান্টিন, বিনোদন কক্ষ, রোল কল, ডিউটিতে যাওয়ার আগে ও ডিউটি থেকে ফেরার পর, সমাবেশস্থলে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা।

১২. কোভিড-১৯ উপসর্গ দেখা দিলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে ছিল বা এসেছে এমন পুলিশ সদস্যদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে কোভিড পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।

১৩. কোভিড-১৯ পজিটিভ সদস্যদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী কেন্দ্রীয়/বিভাগীয়/জেলা পুলিশ হাসপাতাল ও স্থানীয় হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

১৪. জরুরি প্রয়োজনে রোগীকে অন্যত্র স্থানান্তরের ক্ষেত্রে ইউনিট ইনচার্জের তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া। ১৫. ইউনিট ইনচার্জ ও অন্য কর্মকর্তাদের নিজ ইউনিটের আক্রান্ত সদস্য ও তার পরিবারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা এবং সার্বিক সহায়তা দেয়া।

১৬. হাজতখানা সব সময় জীবাণুমুক্ত রাখা এবং হাজতে থাকাকালীন কোনও ব্যক্তির কোডিড-১৯ সংক্রমণের লক্ষণ প্রকাশ পেলে অবিলম্বে তাকে পৃথক করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া।

১৭. রেশন সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও বিতরণের ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করা।

১৮. কোডিড-১৯ সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স প্রণীত এসওপি’র নির্দেশনা অনুসরণ এবং রোলকলে সচেতনতামূলক ব্রিফিং দেয়া।

১৯. কোডিড-১৯ সংক্রান্ত ইতোপূর্বে পাঠানো নির্দেশনা যথাযথ ও আন্তরিকভাবে প্রতিপালন করা।

২০. প্রতিটি পুলিশ ইউনিটে কর্মরত সব সদস্যকে স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয়পূর্বক কোভিড-১৯ (বুস্টার ডোজ) ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করা।

২১. কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় প্রতিটি পুলিশ সদস্য ও তাদের পরিবারবর্গের যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা নিশ্চিত করা।

এ বিভাগের আরো খবর