সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়নে পরাজিত প্রার্থীর বাড়ি থেকে ছোড়া ছররা গুলিতে ৫ জন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় দুই পক্ষের ইটপাটকেল ছোরার ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন।
উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের গদাইপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধরা ওই ইউনিয়নে নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান শাহানেওয়াজ ডালিমের কর্মী।
আহতদের সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল ও আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
নবনির্বাচিত চেয়ারনম্যান শাহানেওয়াজ ডালিম জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তিনি কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে বিজয় মিছিল নিয়ে তুয়ারডাঙা বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। মিছিলটি আনারস প্রতীকের পরাজিত প্রার্থী অহিদুল ইসলামের বাড়ির সামনে এলে মিছিলকে উদ্দেশ্য করে গালিগালাজ করা হয়। জবাবে তার কর্মী-সমর্থকরাও গালিগালাজ করে। এর জেরে উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
তার দাবি, একপর্যায়ে পরাজিত প্রার্থী অহিদুল ইসলামের বাড়ির দোতলা থেকে বিজয় মিছিলকে লক্ষ্য করে ছররা গুলি চালানো হয়। এতে তার ভাতিজাসহ পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়। এছাড়া প্রতিপক্ষের ইটের আঘাতে আহত হন আরও ৭জন কর্মী।
গুলিবিদ্ধ রাসেল ও আসাদুল ইসলামকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
গুলিবিদ্ধরা হলেন গদাইপুর গ্রামের রাসেল হোসেন, আসাদুল শেখ, ৫ম শ্রেণির ছাত্র রাকিব হোসেন, ফিরোজ সানা, সজিব হোসেন।
আহতদের মধ্যে আলী সরদার, টুকু সরদার ইমাম হোসেনের নাম জানা গেছে।
এদিকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী অহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, শাহানেওয়াজ ডালিমের জয়লাভের খবর জানার পর বুধবার রাত ১১টার দিকে তার বাড়িতে হামলা চালায় অহিদুলের সমর্থকরা। বিষয়টি তিনি তাৎক্ষণিক আশাশুনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করেন।
এরপর বৃহস্পতিবার সকালেও শাহানেওয়াজ ডালিমের নেতৃত্বে বিজয় মিছিল করার সময় তার বাড়ির গেট ভাঙচুর চালানো হয়। তখন তিনি আত্মরক্ষার্থে নিজের লাইসেন্সকৃত শটগান দিয়ে ছররা গুলি ছোড়েন।
বিজয় মিছিল থেকে ছোড়া ইটের আঘাতে তার ৬ জন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
এদিকে দুপুর ১টার দিকে প্রতাপনগর ইউনাইটেড অ্যাকাডেমীতে নবনির্বাচিত প্রতাপনগর ইউপি চেয়ারম্যান আবু দাউদ ঢালীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়। অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার সময় নাকনা মাধ্যমিক বিদ্যানিকেতের পাশে নাকনা গ্রামের মঞ্জুরুল ইসলাম ও সোহেল হোসেন নামে দুইজনকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। অভিযোগ, পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা তাদের কুপিয়েছে।
এসব সহিংসতার সত্যতা নিশ্চিত করে আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম কবির জানান, তিনি ঘটনাস্থলে রয়েছেন। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। প্রতাপনগরেও পুলিশ পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।