মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার টেংগারচর ইউনিয়নে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন।
এদের মধ্যে দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ওই ইউনিয়নের টেংগারচর গ্রামে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ৩টি গাড়ি ও ১০টি বসতঘর ভাঙচুর চালানো হয়।
এ ঘটনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েক জনকে আটক করেছে পুলিশ।
নিউজবাংলাকে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রইছ উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সহিসংসতায় আহরা হলেন শাহ আলম, মিজানুর রহমান, বারেক মিয়াজী, দুলাল মিয়া, রূপা বেগম। তারা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এখলাসুর রহমানের সমর্থক বলে জানা গেছে।
এখলাসুর রহমানের দাবি, নির্বাচনে হেরে গিয়ে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ও ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম সালাউদ্দিন মাস্টারের সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে।
নিউজবাংলাকে এখলাসুর রহমান জানান, টেংগারচর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনে তিনি এবং সালাউদ্দিন মাস্টার উভয়ে হেরেছেন। তবে নির্বাচনে হারার কারণ হিসেবে সালাউদ্দিন মাস্টারের সর্মথকরা তাকে দায়ী করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘ফলাফল ঘোষণার পর তারা বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি দিয়েছিল। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৬টার দিকে সালাউদ্দিন মাস্টারের উপস্থিতিতে তার কয়েক শ সমর্থক আমার বাড়িতে হামলা চালায়।’
এ সময় তার বাড়িসহ তার অন্তত নয় সমর্থকের বাড়ি-ঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয় বলে দাবি করেন।
‘নির্বাচনের কাজে ব্যবহৃত আমার দুইটি প্রাইভেটকার এবং একটি মাইক্রোবাসে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা। এ সময় তাদের হামলায় আমার ৫জন সমর্থক আহত হন।’
আহতদের মধ্যে শাহ আলম এবং মিজানুর রহমানকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রইছ উদ্দিন বলেন, ‘এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান এসএম সালাউদ্দিন মাস্টারসহ বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।’