দেশের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যা সমাধানে কারও হস্তক্ষেপের দরকার নেই বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সমস্যা দেশের নাগরিকরাই সমাধানে সক্ষম।
রাজধানীর বিজয় সরণিতে বৃহস্পতিবার সকালে বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন সরকারপ্রধান। গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়েছিলেন তিনি।
১৯৯৬ সালে প্রথমবার ক্ষমতায় এসে অশান্ত পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি ফেরাতে শান্তিচুক্তি সইয়ের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা কিন্তু নিজেরা করেছি। বাইরের কাউকে এখানে হাত দিতে দিইনি। কারণ এটা আমার নিজের দেশের ভেতরে। অভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমার দেশের নাগরিক। তাদের কোনো সমস্যা থাকলে আমরা সমাধান করব। সেভাবেই আমরা সেটা করতে পেরেছি।’
বঙ্গবন্ধু সামরিক জাদুঘরটি আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে নৌবাহিনীর জন্য আলাদা জায়গা আছে, সেনাবাহিনীর জন্য জায়গা আছে এবং বিমান বাহিনী- সবার আলাদা প্রদর্শনীর জায়গা আছে।
‘কাজেই প্রতিটি বিষয় নিয়ে আমাদের শিশু, তরুণ, বয়োবৃদ্ধ যারাই আসবেন, তারা যেমন জ্ঞানার্জন করবেন, সেই সঙ্গে সেখানে আরেকটি বিষয় হবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনীতে অর্থাৎ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে আমাদের যারা তরুণ প্রজন্ম তারা যোগ দিতে আগ্রহী হবে। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তারা উদ্বুদ্ধ হবে।’
এই জাদুঘরের মধ্য দিয়ে দেশের মানুষের বিনোদন চাহিদা কিছুটা হলেও মিটবে বলে মনে করেন সরকারপ্রধান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, আমাদের দেশের মানুষের আসলে বিনোদনের জায়গা সীমিত। সে জন্য আমাদের একটা চেষ্টা থাকে, তাদের বিনোদনের ব্যবস্থা আর বিনোদনের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষণীয় ব্যাপার।’
মিগ২৯ কেনাসহ বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে গিয়ে মামলার মুখে, বাধার মুখে পড়ার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কাজ করতে গেলেই সব সময় একটা বাধা আসে। সেটা আমরা অতিক্রম করেছি। আজকে আমরা এটা করতে সফল হয়েছি।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার প্রসঙ্গটিও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধু হত্যা-পরবর্তী দেশের রাজনীতির চিত্রও উঠে আসে তার বক্তব্যে।
তিনি বলেন, ‘যে আদর্শ নিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল, সেই আদর্শ থেকে বিচ্যুত হয়। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা থেমে যায়।’
আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রেখে বারবার নির্বাচিত করায় দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দীর্ঘ সময় সরকারে থাকার ফলে আজকে বাংলাদেশকে আমরা শুধু উন্নয়ন করা না, বাংলাদেশকে আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছি। যেটা ২০০৮ সালে আমাদের নির্বাচনি ইশতেহারে ঘোষণা ছিল। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি বলে এটা সম্ভব হয়েছে।’