নারায়ণগঞ্জের ধলেশ্বরীতে ট্রলারডুবি ঘটনায় অভিযুক্ত এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চটি জব্দ করেছে নৌ পুলিশ। আটক করা হয়েছে লঞ্চের চালক, মাষ্টারসহ তিনজনকে।
বুধবার রাত দশটার দিকে সদরঘাট এলাকা তাদের আটক করা হয়। ফতুল্লা মডেল থানায় এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ধলেশ্বরী নদীতে বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে লঞ্চের ধাক্কায় একটি ট্রলার ডুবে যায়। এ ঘটনায় অন্তত আটজন নিখোঁজ রয়েছেন।
নৌ পুলিশের সুপার (এসপি) মিনা আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ধলেশ্বরীতে যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিয়ে দেয়া এমভি ফারহান-৬ নামের লঞ্চটি জব্দ করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে লঞ্চটির চালক, মাষ্টার ও সুকানিতে। এ ঘটনায় বিআইডব্লিউটিএ মামলা করবে।’
বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক (ট্রাফিক বিভাগ) বাবু লাল বৈদ্য বলেন, ‘ট্রলার ডুবির বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। মামলার পর লঞ্চটির রুট পারমিটসহ কাগজপত্র যাচাই করা হবে। ইঞ্চিনের ক্রটিসহ নানা বিষয়ে তদন্ত হবে। পাশাপাশি ট্রলারের চালক দক্ষ ছিল কিনা তাও দেখা হবে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ যাত্রী পরিবহন সংস্থার জ্যৈষ্ঠ সহসভাপতি মো. বদিউজ্জামান বাদল বলেন, ‘এমভি ফারহান-৬ যাত্রীবাহী লঞ্চের মালিক বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। নদীকে ঘন কুয়াশা থাকার পরও চালক দ্রুতগতিতে লঞ্চ চালান। মূলত চালক ও মাষ্টারের অদক্ষতায় এ দুর্ঘটনা হয়েছে।’
এদিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা দিনভর অভিযান চালিয়েও ডুবে যাওয়া ট্রলারের সন্ধান পায়নি। উদ্ধার করা যায়নি নিখোঁজ কাউকে। আলোর স্বল্পতায় সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রথম দিনের উদ্ধার কাজ স্থগিত করা হয়। বৃহস্পতিবার আবার উদ্ধার অভিযান হবে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘লঞ্চের ধাক্কায় ট্রলারডুবির বিষয়টি যাচাই করবে তদন্ত কমিটি। নিখোঁজদের উদ্ধারে চেষ্টা চলছে। দুর্ঘটনায় কেউ মারা গেলে মরদেহ দাফনের জন্য জেলা প্রশাসন ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেবে।’
দুর্ঘটনার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, সকালে ধর্মগঞ্জ খেয়াঘাট থেকে ট্রলারটি ৩০ জন যাত্রী নিয়ে নদীর ওপারে কেরানীগঞ্জ যাচ্ছিল। এ সময় ঘন কুয়াশা ছিল। বরিশাল থেকে ঢাকাগামী একটি লঞ্চের ধাক্কায় এটি ডুবে যায়।
যাত্রীদের মধ্যে কয়েকজন সাঁতরে তীরে উঠলেও অন্তত ৮ থেকে ১০ জন এখনও নিখোঁজ। তাদের উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে।