বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তেলের দাম আসলে কত হওয়া উচিত: সূত্র নির্ধারণে বসছে বৈঠক

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ২২:১৯

বাজারজাতকারী বড় কোম্পানিগুলোর মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিটি পর্যালোচনা করা হবে এ বৈঠকে। একইভাবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন কোন মানদণ্ডে এসব পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারপ্রবণতাকে বিবেচনা করে এবং কীভাবে ভোক্তাপর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। এরপর এ দুটি পদ্ধতি কতটা সঠিক, সেই পর্যালোচনা করবেন বিশেষজ্ঞরা।

ভোজ্যতেল ও চিনির দাম নির্ধারণের পদ্ধতি পাল্টাতে চাইছে সরকার। আন্তর্জাতিক বাজারনির্ভর এ দুটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের দাম বর্তমানে যেভাবে নির্ধারণ হচ্ছে, সেটির সূত্র এক দশক পুরোনো। এটিকে এখন হালনাগাদের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে এসব পণ্যের বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিশেষজ্ঞদের নিয়ে ত্রিপক্ষীয় বৈঠকে বসতে যাচ্ছে সরকার। বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বেলা ৩টায় বৈঠকটি শুরু হবে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে বৈঠকে দেশে বড় বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠান টিকে গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, এস আলম গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপসহ বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ পলিসি বিভাগ এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (মূসক গোয়েন্দা ও পরিদর্শন) বিভাগের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

আলোচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অফ কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অফ বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)-এর প্রতিনিধিরা বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিনিধিত্ব করবেন।

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে দেশে ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী ব্যবসায়ীদের সমিতি ‘বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন’ কয়েক মাস ধরে তেলের দাম বাড়াতে চাইছে। কোনো কোনো মাসে তিন দফা দর বাড়ানোর প্রস্তাবও দিয়েছে।

ব্যবসায়ীদের দাবি, বর্তমানে যে দাম, তাতে তাদের লোকসান হচ্ছে। তবে সরকার দাম বাড়ানোর বিষয়ে এই মুহূর্তে কিছু ভাবছে না।

এই পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীরা একতরফা নতুন দাম ঠিক করে আগামী ৮ জানুয়ারি থেকে কার্যকরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তেল ভেদে লিটারে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন তারা।

এ বিষয়টি এরই মধ্যে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন হয়ে এসেছে। এই পরিস্থিতিতে এ বৈঠক হতে যাচ্ছে। যদিও এতে এই বৈঠকে চিনি ও ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণের কোনো সিদ্ধান্ত হবে না।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, তেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নয়, বাজারজাতকারী বড় কোম্পানিগুলোর মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিটি পর্যালোচনা করা হবে এই বৈঠকে। একইভাবে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন কোন মানদণ্ডে এসব পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজারপ্রবণতাকে বিবেচনা করে এবং কীভাবে ভোক্তাপর্যায়ে মূল্য নির্ধারণ করে, সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। এরপর এ দুটি পদ্ধতি কতটা সঠিক, সেই পর্যালোচনা করবেন বিশেষজ্ঞরা।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এর মাধ্যমে ভোজ্যতেল ও চিনির মূল্য নির্ধারণে আগের কাঠামোকে থেকে সরে আসা সম্ভব হবে এবং পদ্ধতিটিও ‍যুগোপযোগী করার উপায় বের হয়ে আসবে। একই সঙ্গে কীভাবে আমদানিকারক ও বাজারজাত কোম্পানিগুলোর খরচ আরও কমিয়ে আনা যায় তারও একটি সুপারিশ করা যাবে।

জানতে চাইলে বৈঠকের প্রধান ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য অনুবিভাগ) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বর্তমান মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিটি তো ১০ বছরের পুরোনো। এই পদ্ধতিটিকে আমরা আরও যুগোপযোগী করতে যাচ্ছি, যাতে ভোক্তাপর্যায়ে পণ্যের মূল্যও সমন্বয় হয়। এ বিষয়ে আগেই একটি কর্মশালা করা হয়েছিল। এখন আমরা বিশেষজ্ঞ মতামতসহ উভয় পক্ষের মূল্য নির্ধারণের প্রক্রিয়াটি পুনঃপর্যালোচনা করব।’

এ বিভাগের আরো খবর