রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে নির্বাচনের সময় প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রদবদলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেয়াসহ ৬ প্রস্তাব তুলে ধরেছে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার রাত ৮টায় সংলাপ শেষে বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এমন কথা জানান দলের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টায় রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে বঙ্গভবনে যায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ।
দলের মহাসচিব মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী সাত সদস্যের ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।
দলটির সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফী, আব্দুল কুদ্দুস তালুকদার, অ্যাডভোকেট শাহীনুল পাশা চৌধুরী, আব্দুল কুদ্দুস মানিকনগরী, যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দিন জাকারিয়া ও অর্থ সম্পাদক মুফতী জাকির হোসেন কাসেমী ছিলেন প্রতিনিধি দলে।
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ সংবিধানে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে আইন প্রণয়নের কথা বলা আছে। তাই সব মহলে গ্রহণযোগ্য আইন প্রণয়ন করে তার অধীনে নির্বাচন কমিশন গঠনের কথা বলেছি।
‘একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই। তাই বিষয়টি বিবেচনায় আনা হোক।’
তিনি বলেন, ‘অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ দিলে বিশ্বস্ততা ও গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না। নির্বাচনকালীন প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে রদবদলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের থাকবে এটা নিশ্চিত করা দরকার।
‘প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনে প্রয়োজনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেয়ার দাবি জানিয়েছি। এছাড়া নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের ওপর ন্যস্ত করারও দাবি করেছি।’
গত ২০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন রাষ্ট্রপতি। প্রথম দিন সংলাপে অংশ নেয় জাতীয় পার্টি।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতির সঙ্গে গণফ্রন্ট ও লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সংলাপ করার কথা রয়েছে।