নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে পাঁচজনের নাম প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট। বুধবার সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপ শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব এম এ মতিন।
বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্টের ৬ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বুধবার বিকেলে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নিতে বঙ্গভবনে যায়।
সংলাপে নির্বাচনকালীন গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ মন্ত্রণালয় ইসির অধীনে ন্যস্ত করার দাবি জানিয়েছে তারা। সে সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা দিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশসহ উন্নত দেশগুলোর মডেল অনুসরণ করার দাবি করেছে তারা।
ইসলামিক ফ্রন্ট ইসি গঠনে যাদের নাম প্রস্তাব করেছে তারা হলেন- সাবেক মুখ্য সচিব সৈয়দ মুহাম্মদ আব্দুল করিম, মেজর জেনারেল (অব.) হারুনুর রশীদ বীর বিক্রম, ইকবাল সোবহান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও শায়খুল হাদিস আল্লামা কাযী মঈনুদ্দীন আশরাফী।
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন দলের মহাসচিব এম এ মতিন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের চেয়ারম্যান মাওলানা এম এ মান্নান, প্রেসিডিয়াম সদস্য আফজাল হোসাইন, সৈয়দ মুসিহুদ্দৌলা, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স. উ. ম আবদুস সামাদ ও সাংগঠনিক সচিব সৈয়দ মুজাফফর আহমদ মুজাদ্দেদী।
মতিন বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন গঠনে স্থায়ী সমাধানের জন্য বিদ্যমান সাংবিধানিক ধারা সংশোধন করে স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব করেছি।
‘নির্বাচনকালীন স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, স্থানীয় সরকার ও জনপ্রশাসন, সংস্থাপন এবং অর্থ মন্ত্রণালয় স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত থাকা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য স্থায়ী কোনও সমাধান নয়। তাদের ব্যর্থতা ইতোমধ্যে প্রমাণ হয়েছে। এ বিষয়ে পার্শ্ববর্তী দেশসহ উন্নত দেশগুলোর মডেল অনুসরণ করা প্রয়োজন।’
রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ তাদের প্রস্তাবগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান দলটির মহাসচিব।