শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়ন ও যথোপযুক্ত দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির আসনসংখ্যা পুনর্নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা ও সামর্থ্য এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে এই সুপারিশ করা হয়।
বুধবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত ডিনস কমিটির এক বিশেষ সভায় এ সুপারিশ করা হয়।
উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান সভার সভাপতিত্ব করেন।
সভায় সংশ্লিষ্ট বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও অনুষদগুলোর চাহিদা এবং প্রস্তাব পর্যালোচনা করা হয় এবং ভর্তির যৌক্তিক আসনসংখ্যা নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণীত হয়।
এই সুপারিশ অনুমোদনের জন্য পরবর্তী শিক্ষা পরিষদের (অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল) সভায় পেশ করা হবে। আগামী ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে পুনর্নির্ধারিত আসনসংখ্যা অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করানোর পরিকল্পনা বিশ্ববিদ্যালয়ের।
সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এ এস এম মাকসুদ কামাল এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিন উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ডিনস কমিটির সদস্য এবং জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, সভায় শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির যে আসনসংখ্যা, সেটিকে যুগোপযোগী করার সুপারিশ করা হয়েছে। যে বিষয়গুলোর চাহিদা আছে, সেসবের প্রতি গুরুত্ব বেশি দিয়ে সেখানে আসনসংখ্যা বাড়ানো আর যেখানে এই গুরুত্বটা কম, সেখানে কমানোর সুপারিশ করা হয়। তবে সব মিলিয়ে কত আসনের সুপারিশ করা হয়েছে, সেটি আমার জানা নেই।
সার্বিক বিষয়ে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কোনো কোনো বিভাগের শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে, আবার কোথাও কমানো হতে পারে। আমাদের সক্ষমতা বাড়লে ক্রমান্বয়ে পরবর্তী সময়ে আবার আসনসংখ্যা বাড়ানো হবে।
‘শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোয় নানা ধরনের সমস্যা আছে। এ ক্ষেত্রে আমাদের সার্বিক বিষয়ে ব্যবহারিক সুবিধাগুলো বাড়াতে হবে। আমরা এ বিষয়ে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’