সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ভোটারদের মানসিকতার পরিবর্তন প্রয়োজন আছে বলে মনে করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ বিষয়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
নির্বাচন কমিশন গঠনে বঙ্গভবনের দরবার হলে বুধবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন সন্ধ্যায় আলোচনায় প্রথমে অংশ নেয় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট। ফ্রন্টের চেয়ারম্যান মাওলানা এ এ মান্নান ৬ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
পরে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ-সভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীর নেতৃত্বে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেয়।
বঙ্গভবনে তাদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠন জরুরি। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা অপরিহার্য।’
আলোচনাকালে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট এবং জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ গ্রহণযোগ্য নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নসহ তাদের প্রস্তাবনা পেশ করে।
ইসলামি ফ্রন্টের প্রতিনিধিরা নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনের সকল কাজে নির্বাহী বিভাগের সহযোগিতা নিশ্চিত করারও প্রস্তাব দেন।
তারা নির্বাচনকালীন সময়ে স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত করার প্রস্তাব দেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।