কমলাপুর রেল স্টেশনে অচেনা মানুষের কাছ থেকে খাবার খেয়ে অচেতন হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। একই খাবার খেয়ে তার স্ত্রীও অজ্ঞান হয়েছিলেন। চিকিৎসা নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরতে পেরেছেন।
রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কমলাপুর থেকে অজ্ঞান অবস্থায় পেয়ে মোকসেদ আলী মন্ডল ও তার স্ত্রী জেবুন্নেসাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
ভাইয়ের মৃত্যুর খবর পেয়ে সস্ত্রীক বাড়ি যাচ্ছিলেন মোকসেদ।
জরুরি বিভাগে পাকস্থলী পরিষ্কার করে হাসপাতালের নতুন ভবনের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় মোকসেদকে। দুই দিন পর মঙ্গলবার দুপুরে ৭০১ নম্বর ওয়ার্ডে তার মৃত্যু হয়।
মোকসেদের ছেলে সোহরাব মন্ডল জানান, ইমরান হোসেন নামে এক পথচারী অচেতন অবস্থায় তার বাবা-মাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যালে নিয়ে আসেন। তার মাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হলেও বাবার অবস্থা ভালো ছিল না।
সোহরাব জানান, তার বড় চাচির মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে জয়পুরহাট যাওয়ার জন্য রোববার রাত সাড়ে নয়টার দিকে কমলাপুর স্টেশনে যান তার বাবা-মা। সেখানে অপরিচিত ব্যক্তির কাছ থেকে তারা বিস্কুট খেয়েছিলেন। এরপর অচেতন হয়ে পড়েন।
প্রাণ হারানো মোকসেদের গ্রামের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছি গ্রামে। তিনি ঢাকার রামপুরা অমলিন এলাকার একটি বাসায় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তার পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে আছে।
ঢাকা রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী দুজনে অপরিচিত ব্যক্তির থেকে কোনো কিছু খেয়েছে বলে জেনেছি। তারপরও ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।’
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘বিষয়টি রেলওয়ে থানাকে জানানো হয়েছে।’
ঢাকা মেডিক্যালে গত দুই সপ্তাহে এ নিয়ে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে মৃত্যু হয়েছে দুই জনের। এর আগে গত ২০ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ থেকে মেয়েকে চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা আসার পথে বাসে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন আব্দুল লতিফ নামে একজন। হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।