অভিনেত্রী শাহ হুমায়রা হোসেন সুবহার করা যৌতুক মামলার অভিযোগ গ্রহণ করেছে আদালত। এ বিষয়ে ১৯ জানুয়ারি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশকে।
রাজধানীর বনানী থানায় সোমবার স্বামী ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে করা মামলায় সুবহা যৌতুকের জন্য তাকে নির্যাতন করা হয় বলেও অভিযোগ তোলেন।
গায়ক ইলিয়াস হোসাইনের বিরুদ্ধে তার স্ত্রী সুবহার করা মামলার এজাহার পুলিশ মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আতিকুল ইসলামের আদালতে দাখিল করে। আদালত এজাহার গ্রহণ করে বনানী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলসানারা বানুকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই সাইফুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এজাহারে সুবহা জানান, গায়ক ইলিয়াসের সঙ্গে গত বছর সেপ্টেম্বরে সুবহার পরিচয় হয়। দ্রুতই তা প্রেমের সম্পর্কে গড়ায়। তারা বিয়ে করেন ১ ডিসেম্বর। বিয়ের পরই সুবহা জানতে পারেন ইলিয়াসের একাধিক বিয়ে ও প্রেমের তথ্য।
এদিকে বিয়ের সময় সুবহার পরিবার ইলিয়াসকে ১২ লাখ টাকা দামের রোলেক্স ঘড়িসহ ১৫ লাখ ৭৫ হাজার টাকার জিনিস দেয়। কিন্তু ইলিয়াস এতে সন্তুষ্ট ছিলেন না। তিনি সুবহার কাছে ফ্ল্যাট কিনতে ৫০ লাখ এবং গাড়ির ৩০ লাখ টাকা দাবি করেন। ৯ ডিসেম্বর ইউটিউব চ্যানেল কিনতে সুবহার মায়ের কাছেও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন ইলিয়াস। তখন তাকে আড়াই লাখ টাকা দেয় সুবহার পরিবার।
দাম্পত্যের শুরুতেই ইলিয়াস ফ্ল্যাট ও গাড়ি কেনার টাকার জন্য চাপ দিতে থাকেন সুবহাকে। ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে এ টাকা দাবির বিষয় নিয়ে দুজনের ঝগড়া হয়। এরই জেরে রাত ৮টার দিকে সুবহাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
৮০ লাখ টাকা যৌতুক দিতে রাজি না হলে পরদিন সুবহাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন। ইলিয়াস তখন সুবহার চুলের মুঠি ধরে মাথা দেয়ালের সঙ্গে ঠুকে দেন। এরপর ইলিয়াস ব্যথার ওষুধ বলে যা দেন তা খেয়ে সুবহা অচেতন হয়ে পড়েন।
সুবহাকে অচেতন করে ইলিয়াস আলমারিতে থাকা ২০ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যান বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে সুবহা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।