বাংলালিংকের বিরুদ্ধে ব্যান্ড তারকা মাহফুজ আনাম জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদের করা মামলায় চার্জ শুনানির তারিখ পিছিয়ে ৩ ফেব্রুয়ারি ঠিক করেছে আদালত।
বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ বাদীপক্ষের সময় আবেদন মঞ্জুর করে পরবর্তী এই তারিখ ঠিক করেন।
অনুমতি ছাড়া গান ব্যবহারের অভিযোগে বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানিটির বিরুদ্ধে তারা এই মামলা করেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘মামলার চার্জ শুনানির নির্ধারিত তারিখে বুধবার চার আসামি আদালতে হাজির হন। এর আগে মামলাটি দুই পক্ষের মধ্যে মীমাংসা করার কথা থাকলেও বিশেষ করে আসামি পক্ষ তা করেনি।
‘ফলে বিচারক মামলাটি সমঝোতার জন্য আদালত যে সময় দিয়েছিল আর তা হচ্ছে না। ফলে মামলাটির বিচারকাজ নিয়মিত আদালতে আইন অনুসারে চলবে।’
আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতির আবেদন দাখিল করলেও আদালত তা নাকচ করে অভিযোগ চার্জ শুনানির জন্য নতুন তারিখ ঠিক করে।
এ ছাড়া পর্যাপ্ত প্রস্তুতি না থাকায় বাদীপক্ষ থেকেও সময় আবেদন করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে ৩ ফেব্রুয়ারি ফের চার্জ শুনানির তারিখ ঠিক করে।
মামলার চার আসামি হলেন- বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এরিক অ্যাস, প্রধান কমপ্লায়েন্স অফিসার এম নুরুল আলম, প্রধান করপোরেট রেগুলেটরি অফিসার তৈমুর রহমান ও হেড অব ভ্যালুঅ্যাডেড সার্ভিস অনিক ধর। আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছেন।
গত ১০ নভেম্বর বাংলালিংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কপিরাইট আইনে জেমস এবং মাইলস ব্যান্ডের মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ পৃথক দুটি মামলা করেন।
মামলায় মান্নাম আহমেদ ও হামিন আহমেদ অভিযোগ করেন, তাদের লেখা ও সুর করা ‘নীলা’ ও ‘ফিরিয়ে দাও’ গান দুটি বাংলালিংক অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করে গ্রাহকদের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা আয় করে আসছে। এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
জেমসও তার গাওয়া ’দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘জিকির’, ‘লুটপাট’, ‘সুস্মিতা’, ও ‘যার যার ধর্ম’ গান সম্পর্কেও একই ধরনের অভিযোগ করেন।
মামলার আসামি প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা সঞ্জয় ভাগাশিয়া বিদেশে চলে গেছেন। তিনি আর দেশে ফিরবেন না বলে বাদীপক্ষ জেনেছে। এ জন্য বাদীপক্ষ মামলা থেকে তাকে বাদ দিয়েছে।