বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পোশাক খাতের বড় কোম্পানি পুঁজিবাজারে আনার উদ্যোগ

  •    
  • ৫ জানুয়ারি, ২০২২ ১৭:২৯

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, ‘ছোট কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করে লাভ নেই। বড় কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আসতে হবে। আর শুধু তালিকাভুক্ত করলেই হবে না, এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়গুলোও বিবেচনা করতে হবে।’

দেশের তৈরি পোশাক খাতের বড় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে নিয়ে আসতে উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

সংগঠনের সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, এমন কোম্পানিগুলোকে তারা নিয়ে আসবেন, যেগুলোর শেয়ার কিনে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা লাভবান হবেন।

বুধবার অর্থনীতি বিষয়ে কাজ করা সাংবাদিকদের সংগঠন ‘ইআরএফ’ আয়োজিত সংলাপে অংশ নিয়ে বিজিএমইএ সভাপতি এ কথা বলেন তিনি। সংলাপে সাংবাদিকদের প্রশ্নে দেশের পোশাক খাতের আদ্যোপান্ত তুলে ধরেন তিনি।

দেশে পোশাক কারখানা কয়েক হাজার। এর মধ্যে বিজিএমইএর সদস্য সংখ্যাই সাড়ে চার হাজার। এগুলোর মধ্যে গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে পরিচিত বিশ্বমানের কারখানা আছে ১৫৩টি। অথচ এসব কোম্পানির মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত মাত্র ৫৮টি। সেগুলোর মধ্যেও একটি বড় অংশই দুর্বল কোম্পানি। বছরের পর বছর ধরে লোকসানের বৃত্তে থাকায় লভ্যাংশ দিতে পারছে না, এমন কোম্পানির সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সঙ্গে আমাদের আলাপ হয়েছে। আমরা পোশাক খাতের ভালো কোম্পানিগুলোকে দ্রুতই পুঁজিবাজারে নিয়ে আসার উদ্যোগ নিচ্ছি।

‘ছোট কোম্পানিগুলোকে তালিকাভুক্ত করে লাভ নেই। বড় কোম্পানিগুলোকে নিয়ে আসতে হবে। আর শুধু তালিকাভুক্ত করলেই হবে না, এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন সে বিষয়গুলোও বিবেচনা করতে হবে।’

সংলাপে পুঁজিবাজার, বিদেশে রপ্তানিতে জিএসপি সুবিধা, র‌্যাব কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রভাব, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

সংলাপে ইআরএফ সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি এম শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যাব ও বাহিনীটির শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞায় দেশটিতে পোশাক রপ্তানিতে কোনও সমস্যা হবে কি না- এমন প্রশ্ন ছিল ফারুক হাসানের কাছে।

জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরাও উদ্বিগ্ন। কিন্তু আমরা মনে করি এটি ফেস করতে পারব। আশা করি, এ বিষয়ে স্টেকহোল্ডাররা আরও নমনীয় হবেন।

‘যুক্তরাষ্ট্র আমাদের বড় বায়ার, সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা কোনও বায়ার হারাতে চাই না।’

যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তের পর বাংলাদেশের কোনও পোশাক কারখানার অর্ডার বাতিল হয়নি বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি।

আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এমনিতেই যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের জিএসপি সুবিধা নেই। জিএসপি নিয়ে যেসব শর্ত ছিল, আমাদের দিক থেকে সবকিছু পরিপালন করেছি। সরকারের পক্ষ থেকেও সহযোগিতা আছে। এটি নিয়ে সরকার টু সরকার আলোচনা হবে। এ নিয়ে আর বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না।’

ইউরোপ-আমেরিকায় করোনার তৃতীয় ঢেউ আর নতুন ধরন ওমিক্রনের কতটা প্রভাব পোশাক খাতে পড়তে পারে- এমন প্রশ্নে ফারুক হাসান বলেন, ‘ওমিক্রনের কারণে কিছু ইউরোপিয়ান বায়ার অর্ডার এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে। তবে ওমিক্রন যদি আমাদের ওপর বড় কোনেও প্রভাব না ফেলে, তাহলে আগামী এপ্রিল পর্যন্ত রপ্তানির এই ধারা অব্যাহত থাকবে।’

করোনা মহামারিতে সরকারের পক্ষ থেকে যে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দেয়া হয়েছিল সে প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘অনেকের ধারণা এটি আমাদের ফ্রি দেয়া হয়েছে। আসলে তা নয়। প্রণোদনার এই অর্থ আমাদেরকে সামান্য সুদে ঋণ হিসেবে দেয়া হয়েছে। সেটিও পরিশোধ করা হচ্ছে।

‘কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে পারছে না। তারও অনেক কারণ আছে। সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে বলেছি ঋণ পরিশোধে আরও কিছুটা সময় দেয়ার জন্য।’

রাজনীতিতে ব্যবসায়ীদের আগ্রহের বিষয়ে ফারুক হাসান বলেন, ‘আমি মনে করি না যে ব্যবসা করতে হলে রাজনীতি লাগবে। যারা যুক্ত হয়েছেন, তারা দীর্ঘ সময় ধরে রাজনীতিতে আছেন।’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘তিনি ৫০ বছর ধরে রাজনীতি করেন। আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের বয়সও ৫০ বছর হয়নি। আমি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত নই, অর্থনীতির মানুষ; অর্থনীতিতেই থাকতে চাই।’

এ বিভাগের আরো খবর